পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল ব্যুরো : আগাম বৃষ্টির সাথে তাপ প্রবাহ শেষে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর স্বাভাবিক বর্ষণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঈদ বাজার কিছুটা ¤øান হলেও ক্রমেই তা জমে উঠছে। আজ থেকে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরগুলোতে মাসের বেতন সহ উৎসব ভাতা দেয়া শুরু হলে চলতি সপ্তাহেই ঈদের বাজার তার পূর্ণ রূপ ধারন করবে বলে আশা ব্যবসায়ীবৃন্দের। তবে এবার এখনো তৈরী পোশাক আর শাড়ীর দোকানগুলো খুব একটা ভীড়ে ঠাসা না হলেও মাঝারী ধরনের বেচাকেনা চলছে। সকলেই চলতি সপ্তাহ থেকে ক্রেতাদের ভীড় বাড়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠীতে ক্রমে ঈদ বাজার জমে উঠছে।
তবে গত সপ্তাহের তাপপ্রবাহ শেষে দু’দিনের ভারী বর্ষণ ঈদের বাজারকে কিছুটা ব্যহত করেছে। গতকালও দুপুরের পরে আবাহাওয়া কিছুটা বৈরী ছিল। এর পরেও মাস শেষের মাইনে আর ঈদ বোনাস পেয়ে সকলেই অন্তত একবার ছেলে মেয়ে নিয়ে ঈদের বাজরে আসবেন বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
গত শুক্রবার থেকে বর্ষা মাথায় করেই মৌসুমী বায়ু উপক‚লের পূর্বভাগে পৌঁছে যাবার পাশাপাশি আজকালের মধ্যে তা দেশের মধ্যঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। গত শুক্রবার বরিশালে প্রায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবারে যা ছিল ১৬ মিলিমিটার। তবে বৃহস্পতিবারে ভোলাতে ৫৮ মিলিমিটার এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়াতে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ বর্ষণকে স্বাভাবিক বলে তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানা গেছে।
এবারের রোজায় চিনি, ভোজ্যতেল, ছোলাবুট সহ বেশীরভাগ নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ায় দক্ষিণাঞ্চলের সাধারন মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে আছেন। ফলে ঈদের কেনাকাটা গত বছরের তুলনায় আরো কিছুটা জমে উঠবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীবৃন্দ। ইতোমধ্যে ছেলেমেয়ে ও শিশুদের তৈরী পোশাকের দোকানগুলো সমৃদ্ধ মজুদ গড়ে তুলেছে। শাড়ীর দোকানে ইতোমধ্যে ঈদের ক্রেতাদের আনোগোনা বড়লেও তা এসপ্তাহে আরো যথেষ্ট বাড়বে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। তবে মেয়েদের থ্রি-পিস সহ শাড়ীর বাজারে এবারো ভারতীয় কাপড়ের আধিক্য থাকলেও অনেক দেশী কাপড়ই ভারতীয় বলে বিক্রি করছেন দোকানীরা।
এবারো প্রতিটি পোশাকে পাইকারীর সাথে খুচরা বাজারে তফাত অস্বাভাবিক। এমনকি জাকাতের শাড়ী ও লুঙ্গির বাজারেও পাইকারী ও খুচরার তফাত প্রায় ২৫-৩০% পর্যন্ত। তবে নানা রঙের ও বাহারের মেয়েদের পোশাকের বাজারে হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকার পোশাকও বিক্রি হতে শুরু করেছে। ছেলেদের পোশাকের বিভিন্ন ব্রান্ড শপে এবার ইতোমধ্যে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে । ক্যাটস আই, ইজি, রীচম্যানম্যান-লুবনান সহ দেশের নামী ও দামী ব্র্যান্ডশপ গুলো গত কয়েক বছরে বরিশাল মহানগরীতে বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। একদরের বাতানুকূল এসব ব্র্যান্ডশপে বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন ক্রেতারা। এরমধ্যে কয়েকটি ব্র্যান্ডশপে নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ বিত্তের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে। তবে নগরীর চকবাজার, গীর্জা মহল্লা ও ফজলুল হক এভিনিউর স্থানীয় নামী দোকানগুলোতেও প্রতিদিনই নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক আসছে। ঈদে নতুন জুতা-স্যান্ডেলের চাহিদাও ব্যাপক। বহুজাতিক বাটা ছাড়াও দেশীয় ব্র্যান্ডশপ এপেক্স, বে এবং জিনিয়াস-এর দোকানগুলোতে নতুন নতুন জুতার সমারহ চোখে পড়ার মত। তবে এর বাইরেও দেশীয় বিভিন্ন জুতা কোম্পানী অনেকটা সাশ্রয়ী দামেই জুতা-স্যান্ডেল বিক্রি করছে।
ঈদকে সামনে রেখে এখনো মসলার বাজার থেকে শুরু করে মুরগী আর গরু-খাসীর গোসতের বাজার জমে ওঠেনি। ১০ জুনের পরে মসলার বাজার এবং শবে কদরের পরে গোসতের বাজার জমে উঠবে বলে আশা করছেন ওয়াকিবহাল মহল। তবে এবারো গরু-খাসীর বাজার গত বছরের মত অনেকটাই চড়া থাকবে বলে মনে করছেন সকলে। এরই রেশ ধরে ব্রয়লার মুরগীর দামও ক্রমশ বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।