Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দুঃশাসন থেকে দৃষ্টি ফেরাতে মানুষ হত্যা করছে - মির্জা ফখরুল

| প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দুঃশাসন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে সরকার পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিচারবর্হিভূত এই হত্যাকাÐের পেছনে ভিন্ন কারণ আছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের টার্গেট, সে উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের কমিশনার একরাম সাহেবকে হত্যা করা হলো। এলাকার সবাই বলছেন তিনি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। প্রকাশিত অডিও প্রমাণ করে যে অভিযান সরকার ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করছে। এভাবে বিচারবর্হিভূত হত্যা চলতে পারে না। এটা কী সেই জঙ্গলের মধ্যে, জঙ্গি আইন এখানে আছে। এগুলোকে প্রতিরোধ করে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আজকে আমাদের পথে নামতে হবে, পথেই এদের পরাজিত করতে হবে। গতকাল (শনিবার) ধানমÐির ফখরুদ্দিন কনভেশন সেন্টারে জাতীয়তাবাদী প্রাক্তন ছাত্রকল্যাণ পরিষদ রংপুর মেডিকেল কলেজ আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই অভিযান (মাদক বিরোধী অভিযান) কে প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ বলছি। এই অভিযান চালানো হয়েছে সম্পূর্ণভাবে একটি ভিন্ন উদ্দেশ্যে, একটি ভিন্ন কারণে। আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম যে, এটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে কিনা। আজকে এই অডিওর মধ্য দিয়ে এটা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে, এই অভিযানে মধ্য দিয়ে সরকার জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করতে চায়। সরকারের এহেন দমননীতির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের (সরকার) যে দুঃশাসন, তাদের যে অন্যায়-অত্যাচার-হত্যা কল্পনা করা যায়? একটা স্বাধীন মুক্ত দেশে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে মারা হচ্ছে তার কোনো বিচার হবে না। বিচারবর্হিভুত হত্যাকাÐ- এই কোন দেশে বাস করছি আমরা।
অপশাসন ও দুঃশাসনে দেশের সব কিছুই অচল হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ট্র্যাফিক সিস্টেম থেকে শুরু করে দেশের সবকিছুই আজকে অচল হয়ে পড়েছে। সবকিছুতেই অচলাবস্থা বিরাজ করছে। কোথাও কোন সুশাসন নেই, নাগরিক অধিকার নেই, স্বাভাবিক অবস্থা নেই। সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে, মানুষের শেষ আশ্রয় স্থল ছিল বিচার বিভাগ সেটিকেও কৌশলে শেষ করে দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত ছাড়া এখন সেগুলোও চলছে না। দেশে সুশাসন বলতে কিছু নেই। যেকারণে জনজীবন অতিষ্ট আজ। কেউ কোথাও বিচার পায় না। না আদালতে, না অন্য কোথাও। মানুষের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। জনগণের কোনো অংশগ্রহন নেই সংসদে ও শাসনব্যবস্থায়। দেশে সুশাসন বলতে কিছু নাই দুঃশাসন পুরোপুরিভাবে। সেকারণে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। চালের দাম যেভাবে বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে হারে বেড়েছে যেটা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। যারা ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন তারা শুধুমাত্র ভিন্ন মতের হওয়ায় তারা গ্যাস অথবা বিদ্যুতের সংযোগ পান না। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তাদের শিল্প-কারখানা পড়ে থাকে। এটা একটা খন্ডিত চিত্র। মেগা প্রকল্পের নামে ‘মেগা লুট’ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থায় চলতে দেয়া যেতে পারে না। এটা শুধুমাত্র বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার একার সমস্যা নয়, এটা সমস্যা সমগ্র জাতির। আজকে সমগ্র জাতিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশকে ধ্বংস করে দেবার যে ষড়যন্ত্র, দেশকে একেবারে দুর্বল করার যে ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হলে অবশ্যই জাতীয় ঐক্য ও জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। এই সম্মিলিত ঐক্যের মাধ্যমে যে দানব আমাদের ওপর চেপে বসেছে
তাকে একটি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরাতে হবে। সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও ডা. আবুল কানানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক, সহসভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাক রহিম স্বপন, চিকিৎসক একেএম মোজাম্মেল হক, এটিএম ফরিদউদ্দিন, ফরহাদ হাসান চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।######

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ