Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রণালয়ের বদলির আদেশ উপেক্ষিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দোর্দান্ড প্রতাপশালী একজন যুগ্ন-সচিবকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হলে এখনো তিনি স্ব-পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৬ মে তাকে প্রবাসী মন্ত্রণালয় থেকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বদলি করে। যুগ্ন-সচিব মো: মিজানুর রহমান সরকারী অফিস আদেশের তোয়াক্কা না করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বদলির জন্য রিলিজের আবেদন না করে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ে বহাল থাকার জন্য জোর লবিং চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যুগ্ন-সচিব মিজানুর রহমান সরকারের কাছ থেকে সুদবিহীন নতুন গাড়ী ক্রয়ের জন্য প্রায় ২৫ লাখ টাকার ঋণ নিয়ে গাড়ী কিনেও ক্ষমতার দাপটে অন্যান্য কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত একটি গাড়ী (মাইক্রোবাস ) নিজে সারাদিন ব্যবহার করছেন। এতে প্রতিদিন একই গাড়ী ব্যবহার করতে গিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরমভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিধি অনুযায়ী যুগ্ন-সচিব মিজানুর কোনো গাড়ী পান না । তার পরেও সরকারী পরিবহন পুলের গাড়ী নিজের ইচ্ছা মতো ব্যবহার করছেন ঐ যুগ্ন-সচিব । এছাড়া প্রতিদিন অফিস ছুটি’র পরেও দেড় দু’ঘন্টা অফিসে অবস্থান করেন তিনি। এতে অন্যান্য কর্মকর্তারা অফিস ছুটি’র পর তার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে গিয়ে দারুণ ভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। প্রভাব খাটিয়ে তিনি সর্বাধিক বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কিছুদিন আগে আবার তার বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব আসলে প্রবাসী মন্ত্রী সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
গত ২৯ মে সকালে প্রবাসী মন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণে প্রটোকলে দায়িত্ব পড়ে এই যুগ্ম সচিব মোঃ মিজানুর রহমানের। তার সাথে যে কর্মকর্তারা গাড়ী করে নিয়মিত অফিসে আসেন তাদেরকে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের বাহিরে প্রায় দেড় ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন । এতে সরকারি কাজে অনেক বিঘœ ঘটে। প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের দক্ষতা ও উন্নয়ন তহবিলের অধীন কর্মরত কর্মচারীদের চাকরী নিয়মের মধ্যে থাকা সত্তে¡ও স্থায়ী না করায় তারা যুগ্ন-সচিব-এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন (যাহার রিট পিটিশন নং-৩২৩৫ অব ২০১৮) । তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঐসকল কর্মচারীদের মৌখিকভাবে অফিসে আসতে নিষেধ করেন এবং জোড়পূর্বক তাদের হাজিরা খাতা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাখেন। যুগ্ন-সচিব মিজানুর রহমান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, ব্যক্তিগত রেশারেষি’র কারণে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। এসব অভিযোগের ভিত্তি নেই। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়েই আমাকে থাকতে হবে এমন কোনো আশা নেই। প্রবাসী সচিব দেশে ফিরছেই আমার বদলির বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিস ছুটির পরে কাজের প্রয়োজনে অফিস করতে হয়। অন্যান্য কর্মকর্তাদের গাড়ী ব্যবহার সর্ম্পকে তিনি বলেন, তাদের কোনো অসুবিধা হলে আমাকে বলতে পারতো। দক্ষতা ও উন্নয়ন তহবিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (হাইকোর্টে রীট পিটিশনকারী) মৌখিকভাবে অফিসে আসতে নিষেধ কার ও জোরপূর্বক তাদের হাজিরা খাতা নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়া সর্ম্পকে যুগ্ন-সচিব মিজানুর রহমান বলেন, আমার একক সিদ্ধান্তে এসব কিছুই হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মন্ত্রণালয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ