Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জঙ্গি-মাদক অভিশাপমুক্তি অভিযানে অপরাধী রক্ষার ওকালতি নয় -তথ্যমন্ত্রী

১৩ সংস্থার সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি

| প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গি ও মাদকের অভিশাপ থেকে সমাজ ও রাজনীতিকে নিরাপদ করার অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অপরাধীদের রক্ষার ওকালতি চলবেনা। বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা-মানস আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ আহবান জানান। জঙ্গি ও মাদক ব্যবসায়ীদের মানবরূপী দানব আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ষোল কোটি মানুষের নিরাপদ সুস্থ জীবনযাপনের মানবাধিকার লংঘনকারী এ দানবদের কোনো ছাড় দেয়া যায় না। তিনি বলেন, ‘একাত্তরের গণহত্যা, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যা, অপারেশন ক্লিন হার্ট, একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা ও আগুনসন্ত্রাসের খুনীদের রক্ষার খলনায়ক জিয়া ও খালেদা জিয়া। আজও তাদের দলই জঙ্গী-মাদক বিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপ চেষ্টায় লিপ্ত। সেকারণে, খুনীদের কর্তৃত্ব ও পুণর্বাসনের অপরাজনীতি থেকে দেশকে উদ্ধারকরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’, বলেন হাসানুল হক ইনু। এসময় তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারের কুফল বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তামাকচাষ নিষিদ্ধের জন্য আন্দোলন গড়তে হবে। এবং নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এসকল পণ্য যাতে সহজলভ্য নাহয় সেজন্য এদের ওপর কর বৃদ্ধি করা উচিত।’ আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা: অরূপরতন চৌধুরী সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং অন্যান্যর মধ্যে মানস এর সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার এবং ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জালাল উদ্দিন আশরাফুল হক।
১৩ সংস্থার সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি
তথ্য মন্ত্রণালয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে দিয়ে তার অধীন ১৩ দফতর ও সংস্থার সঙ্গে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এনুয়াল পারফরমেন্স এগ্রিমেন্ট- এপিএ)’ স্বাক্ষর করেছে । গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য সচিব আবদুল মালেকের সঙ্গে ১৩টি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে তথ্যমন্ত্রী বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি পদ্ধতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে জাতীয় বাজেটে যেসব লক্ষ্য নির্ধারিত হয় তা অর্জন করার জন্য কর্মকৌশল তৈরি করে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হচ্ছে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে লক্ষ্য অর্জনের পথে কোথাও অদক্ষতা, ঘাটতি বা গাফিলতি আছে কি না তা সহজেই ধরা যায়।’ তিনি বলেন, ‘এই চুক্তিতে লক্ষ্য অর্জনের কর্মপদ্ধতি ও সময় কাঠামো উল্লেখ থাকে এবং প্রতি অর্জনের জন্য নম্বর থাকে। ফলে, সংস্থাগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে এ চুক্তি। ‘চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে চুক্তির নির্ঘণ্ট অনুযায়ী আপনারা কাজ করবেন এবং চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করবেন। লক্ষ্যটুকু অর্জন করলেই যে স্বস্তি নিশ্বাস ফেলবেন তা ঠিক না, প্রয়োজনে নির্ধারিত লক্ষ্যের বেশিও করা যাবে’, সংস্থাপ্রধানদের নির্দেশনা দেন হাসানুল হক ইনু। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পাদিত এপিএ’র ৯৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান তথ্য সচিব। তদারকি জোরদার হলে প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় উল্লেখ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘যেসব প্রকল্পে ৮০-৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে সেগুলো যেন আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে করতে পারি, নির্বাচনের আগে সকল শক্তি নিয়োগ করে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।’ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে তথ্য অধিদফতর (পিআইডি), গণযোগাযোগ অধিদফতর, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ