বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এস.কে.এম নুর হোসেন, পটিয়া থেকে: পটিয়ায় ইয়াবাসেবীরা ইয়াবাকে বলে ‘বাবা’। সারাদেশে ইয়াবা সহ মাদকবিরোধী অভিযান চললেও পটিয়ায় ইয়াবা কিংবা ’বাবা’র রাজত্ব এখনও কমেনি। চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা, গাঁজা, চোলাই মদের ব্যবসা। পটিয়ার শতাধিক স্পটে এ মাদকের ব্যবসা চলে আসছে। এদের মধ্যে মাদকসেবীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।
গত ২/৩ বছরে পটিয়ায় প্রায় ৩শ কোটি টাকার মাদকের লেনদেন হয়েছে। ইয়াবার বড় পাইকারী ব্যবসায়ী পটিয়ার ধলঘাটের নন্দেরখীল গ্রামের আব্দুল হামিদ প্রকাশ বাইট্টা ফারুক গত ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এবং গত ১৭ মে পটিয়া জঙ্গলখাইনের হাবিবুর রহমান সহ ২ জন বরিশাল কলোনিতে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। বিগত ২০১৭ সাল থেকে পটিয়ার বিভিন্ন স্পটে মাদকসেবী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বলে সূত্র জানায়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীরা পটিয়াকে নিরাপদ রুট হিসাবে বেছে নিয়েছে। অথচ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক জামাল উদ্দীনের বাড়ী পটিয়ায়। উঠতি বয়সের কিশোর তরুণ কলেজ পড়–য়া ছাত্র, যুবক দিনমজুর শ্রমিক এরা পান করছে ইয়াবা। টেকনাফ কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে ও নৌ পথে আসে ইয়াবার চালান। এছাড়া পটিয়ার কেলিশহর ও হাইদগাঁও দিয়ে বান্দরবান পাহাড় থেকে আসে চোলাই মদ ও গাঁজার চালান। এসব মাদকদ্রব্য পটিয়ার বিভিন্নস্থানে মজুদ করার পর সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্নস্থানে পাচার করে দেয়। পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্নস্থানে প্রায় শতাধিক স্পটে ইয়াবা সহ চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রয় হয়ে থাকে। তাদের একটি তালিকা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে রয়েছে।
র্যাব-৭ এর এক সূত্র থেকে জানা গেছে পটিয়ার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা তাদের হাতে আছে। যে কোন সময় অভিযান চালানো হবে। পুলিশের হাতে অনেকের তালিকা থাকলেও তারা মাঝে মধ্যে খুচরা ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করে থাকে। কিন্তু বড় পাইকার ব্যবসায়ীরা অধরা থেকে যায়। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পটিয়া সার্কেলের তেমন কোন সাফল্য নেই বললে চলে। গত ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে পটিয়া থানায় ১৮ জন অফিসারের স্থলে ২২ জনের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৪০ জন অফিসার পোস্টিং দেওয়া হয়। কিন্তু এতে কোন সাফল্য আসেনি। পক্ষান্তরে জনগণের হয়রানি বেড়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন ও পটিয়ার সংসদ সদস্য শামশুল হক চৌধুরী কয়েকবার সমাবেশ করে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তাগিদ দিলেও কোন ফলোদয় হয়নি। এমনকি পটিয়ায় আওয়ামীলীগের এক সমাবেশে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পটিয়াকে ইয়াবা জোন হিসেবে আখ্যায়িত করে। তাই পটিয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান পরিচালনার প্রয়োজন রয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।