পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ন্যূনতম মানবিক আচরণও করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যেখানে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে, সেখানে কোনও জেনারেটর নেই। প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ চলে গেলে মোমবাতি ও হাতপাখা দিয়ে চলতে হয় খালেদা জিয়াকে। এই যে অমানবিকতা ও হৃদয়হীন আচরণ, এর কোনও তুলনা নেই।
আজ বুধবার দুপুর ১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। তারা দেখেছেন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এমন অসুস্থ যে তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না। প্রতি রাতে তার জ্বর আসছে। এটা যেকোনও সুস্থ মানুষের জন্য সংকটাপন্ন অবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলাম, সেখানে কখনও বিদ্যুৎ যেতে না। কারণ, সেখানে সার্বক্ষণিক জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল। এখন খালেদা জিয়াকে যেখানে রাখা হয়েছে সেটা কোনও দিক দিয়ে কারাগারের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। সাধারণ প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে খালেদা জিয়ার যে প্রাপ্য অধিকার, সেটুকুও তিনি পাচ্ছেন না।’
ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা কারাগারের সুবিধার বাইরে নিজের খরচে অনেক সুবিধা ভোগ করেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরাও সেই সুবিধা ভোগ করেছি। কিন্তু খালেদা জিয়াকে তা করতে দেওয়া হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা বাইরে থেকে কোনও কিছু নিয়ে যেতে পারছেন না।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন পাঠিয়েছিল। সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত দেননি। তার কাছে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক অনুরোধ এসেছে যেন খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কিছুই করেননি।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া যেন আগামী নির্বাচনের আগে কারাগার থেকে বের হতে না পারে সেটা নিশ্চিত করছে সরকার। এজন্য বারবার তার জামিন আটকে দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।