পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন বলেছেন, ‘আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে, আসন্ন নির্বাচনে ভারতের সাহায্য চেয়েছেন শেখ হাসিনা। এই খবর যদি সত্য হয়, তাহলে কি এই দেশ স্বাধীন আছে? তাহলে কি দেশকে অঙ্গরাজ্য বানাতে চায় সরকার?’
২৮ মে, সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব প্রশ্ন করেন বিএনপির মহাসচিব। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারীর মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। কীভাবে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এত রক্ত ১৯৭১ সালের পর আর ঝরেনি, এটা কল্পনা করা যায় না। একটি সভ্য দেশে এভাবে বিনাবিচারে মানুষ হত্যা করা হবে, তা কল্পনা করা যায় না।
কে মাদকদ্রব্য সেবন করে, কে ব্যবসা করে, সেটা কথা নয়। যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা বিচার পাচ্ছে না কেন?’
ফখরুল আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের একজন কাউন্সিলরকে হত্যা করা হয়েছে। তিনবার তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। হাজারো মানুষ সেখানে জানাজায় অংশ নিয়েছে। সবাই বলছে নিরপরাধ একজনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিবে।
এর দ্বারা বোঝা যায়, এটা শুধু মাদকবিরোধী অভিযান নয়। এতে কোনো ষড়যন্ত্র আছে। একটার পর একটি ষড়যন্ত্র করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।’
সরকারকে সরাতে হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ভয়াবহ দানব, যে আমাদের বুকের ওপর এসে পড়েছে; তাকে সরাতে হবে।
আমরা যদি আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে সরাতে না পারি, তাহলে জাতি আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।’
আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কোনো স্বৈরাচারী সরকারকে সরানোর জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয় না। তাই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। নির্বাচন অবশ্য দিতে হবে। সেটা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং জনগণের ভোটের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।’
‘খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার জন্য। জাতীয় ঐক্য গঠন করে। তা না হলে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেক্ষেত্রে লক্ষ্য পূরণ হয় না। আমরা যেন অস্থির না হই, যেন কোনো হটকারিতা না করি। তাহলে কিন্তু মূল জায়গা থেকে সরে যাব। এই সরকার, যাদেরকে স্বাভাবিক অর্থে স্বৈরাচারী সরকার বলা হয়। এটা শুধু আমাদের কথা নয়। এটা আন্তর্জাতিকভাবে বলা হচ্ছে’, বলেন বিএনপির এই নেতা।
প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, ‘কে মাদক ব্যবসায়ী, এটা আমাদের প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে না কেন? আপনার ঘরে যারা মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে প্ররিচিত, মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত তাদের গায়ে ফুলের টোকাও দিচ্ছেন না।
কক্সবাজারে কাউন্সিলর, নিরীহ মানুষ তাকে হত্যা করা হয়েছে। কারা এই তালিকা তৈরি করেছেন, কারা আজকে বাংলোদেশে একটা নতুন পরিবেশ সৃস্টির জন্য এটা করছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন।’
স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।