Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

টেকনাফ-কক্সবাজারের ইয়াবা সম্রাজ্যে পতন শুরু

পালাচ্ছে ব্যবসায়ীরা, আত্মগোপনে গডফাদাররা

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

দীর্ঘদিন পর হলেও শুরু হয়েছে কক্সবাজারবাসীর প্রাণের দাবি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান। এই অভিযানে খুশি কক্সবাজারের সর্বস্থরের মানুষ। তবে তাদের দাবি চুনো পুটি না ধরে সত্যিকারের ইয়াবা গডফাদার ও শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ধরা হউক।
সারা দেশে মাদকের সহস্রাধিক গডফাদার ও আড়াই হাজারের বেশি শীর্ষ ব্যবসায়ীর খোঁজে মাঠে নেমেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। চলছে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি এ অভিযান। অভিযান চলবে রমজানজুড়ে। এতে করে সারা দেশের মত কক্সবাজারের মাদক রাজারাও নড়েচড়ে বসেছে। ইতোমধ্যেই পতন শুরু হয়েছে মাদক সম্রাজ্যে। পালাতে শুরু করেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।
গতকাল থেকে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে এই অভিযান। গতকাল পর্যন্ত দুই মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছে টেকনাফের আলোচিত সমালোচিত এমপি আব্দুর রহমান বদির বেয়াই ইয়াবা গডফাদার আক্তার কালাম মেম্বার ও মহেশখালীর ইয়াবা ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমদ।
চলতি বছরের মার্চ মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, কোস্টগার্ড ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটি হালনাগাদ তালিকাটি তৈরী করা হয়। যেখানে ইয়াবার গডফাদার হিসেবে স্থান পেয়েছে ৬০ জন। কক্সবাজারের ৮টি উপজেলার ১১৫১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর নামও উঠে এসেছে এ তালিকাটিতে।
তবে ইয়াবা গডফাদর তালিকা থেকে ‘দায় মুিক্ত’ দেয়া হল টেকনাফ-উখিয়ার বহুল আলোচিত-সমালোচিত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে। সরকারের সর্বশেষ তৈরী করা ইয়াবার গডফাদারের তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয় বলে জানাগেছে। এতে করে সচেতন মহলে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারো মতে বদিকেই যদি তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় ইয়াবা পাচার বন্ধ হবে কমেনে। তাদের মতে এটি রহস্যজনক। আবার কারো মতে ইয়াবার সাথে এমপি বদির সংশ্লিষ্টতা নেই বিধায় যাচাই বাছাই করে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।
ইয়াবার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠার শুরু থেকে সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্য বারবার ইয়াবার সাথে তিনি কোনভাবেই জড়িত নন বলে দাবি করে আসছেন। দাবি করেছেন এটি তার নিজের-পরিবারের সদস্যদের ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র।
কিছুদিন আগে সংসদ অধিবেশনের বক্তব্যে এমপি বদি চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, কোনভাবে তিনি ইয়াবা ব্যবসা বা ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পকৃক্ত রয়েছে প্রমাণ করতে পারলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ফলে এমপি বদির ইয়াবা ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা ছিল। সংসদের ওই বক্তব্যে এমপি বদি সারা দেশের সাংবাদিকদের টেকনাফে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে গতকাল এমপি বদির এক বেয়াই টেকনাফ সাব্রাং ইউপির আক্তার কামাল মেম্বার বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
এদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী এই অভিযানে কক্সবাজারের মানুষ খুশী। তবে মাদক বিরোধী এই অভিযান শুরুর পর থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা গা ঢাকা দিলেও কক্সবাজারের মানুষ আশা করছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ৬০ গডফাদার ও ১১৫১ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা ধরে অভিযান চালিয়ে যাবেন।



 

Show all comments
  • তপন ২৬ মে, ২০১৮, ২:৪৯ এএম says : 0
    আত্মগোপন করলেও তাদের খুঁজে বের করতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Sohel Sami ২৬ মে, ২০১৮, ৫:১৬ পিএম says : 0
    good
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যবসায়ীরা

১৪ এপ্রিল, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ