বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামে নববর্ষ পালন জায়েজ নেই। এই নাজায়েজ দিবসে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ ও বর্তমান ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও শিক্ষাআইন বাতিলের দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে আওয়ামী ওলামা লীগ ও সমমনা ১৩ দল বিশাল মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২ পযর্ন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে উত্থাপিত ১০ দফা দাবি হচ্ছেÑ ‘ইসলামে নববর্ষ পালন জায়েজ নেই। পহেলা বৈশাখ, পহেলা জানুয়ারি, পহেলা মুহররম পালন জায়েজ নেই। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এ দেশে হারাম দিবস পালনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করতে হবে।’ ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসী হামলা এবং তথাকথিত পহেলা বৈশাখ সংস্কৃতি দুটোই অনৈসলামী ও হারাম। সংগ্রাম, নয়া দিগন্তসহ কয়েকটি পত্রিকা এবং জামায়াত-শিবির এদিনকে পুঁজি করে তারা রাজনীতি করে। মাওলানা নিজামীর নেতৃত্বে তারা পহেলা বৈশাখ পালনে মিছিলও করেছে। পহেলা বৈশাখের নামে চারুকলার গাঁজাখোর এবং কর্পোরেট মিডিয়া ও পুঁজিবাদী বেনিয়াগোষ্ঠী বাণিজ্য ও অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। জাতীয় সংসদের সম্মানিত সদস্যদের নিয়ে প্রধান বিচারপতির অবজ্ঞামূলক বক্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দ্রুত শেষ করতে হবে। ‘পহেলা বৈশাখ ও চৈত্র সংক্রান্তি পালনে মুসলমানিত্ব যায় না’Ñ তথ্যমন্ত্রী ইনুর এ কুফরি বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখের জন্য নয় বরং ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য বোনাস দিতে হবে। সরকারিভাবে পবিত্র মিলাদ-ক্বিয়ামের প্রচলন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নামের পূর্বে সবক্ষেত্রে শহীদ বঙ্গবন্ধু ব্যবহার করতে হবে এবং ১৫ আগস্টকে জাতীয় শাহাদাত দিবস ঘোষণা করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসব মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কাজেই যেখানে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সেখানে মুসলমানদের পহেলা বৈশাখের বোনাস বাদ দিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে বোনাস দিতে হবে। কারণ পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি অনৈসলামিক ও অপসংস্কৃতি। তাই এদিনকে পুঁজি করে রাজনীতি করা এবং এ দিবস পালন করা বন্ধ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, ‘শিক্ষানীতি ২০১০’ ইসলামবিদ্বেষী ও অনৈসলামী এবং হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতি। বামধারার শিক্ষামন্ত্রী পূর্বে বলেছেন, শিক্ষানীতি কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে, এর পরিবর্তন করা যাবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বহু আন্দোলন ও মানববন্ধন-মিছিল হয়েছে, দাবি উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী তা কানে তোলেননি বরং নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা দর্শন দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে করে ধর্মপ্রাণ মানুষ আওয়ামী লীগ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে সে সুযোগ নিচ্ছে জামায়াত ও জঙ্গি জোট। কাজেই ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষানীতি ২০১০-কে শিক্ষাআইন-২০১৬ করা মেনে নেয়া যায় না। কারণ এই শিক্ষানীতি হেফাজত-জামায়াতকে আন্দোলন সৃষ্টির সুযোগ করে দেবে।
মাবববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন পীরজাদা, পীর, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, সভাপতি-বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি-সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, শায়েখ আলহাজ মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, সভাপতি-বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশন, আলহাজ লায়ন মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক, সভাপতি-জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি সহ-সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি-সভাপতি বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতি, মাওলানা নূর মুহম্মদ আহাদ আলী সরকার, ডা: মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সুবহান, অধ্যাপক কাজী আলহাজ মাওলানা নোমান চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ খালেদ হাসান, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল বারিক, মাওলানা ক্বারী আসাদুজ্জামান ছুন্নী জালালী আল কাদরী-প্রিন্সিপাল কোরআন-সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসা, মাওলানা মুহম্মদ জাকির, মাওলানা মুহম্মদ হাবীবুর রহমান শাহ জালালী আল কাদরী আল মুজাহিদী গাজীপুরী, ডা: এম সাইফুদ্দীন মিয়াজি, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, আল্লামা মুফতি মাওলানা মুহম্মদ মাঈনুদ্দীন গোপালগঞ্জী, আল্লামা মুহম্মদ আব্দুল আহাদ সাভারী, মাওলানা মুহম্মদ নূরুদ্দীন (মোহাদ্দেস), অধ্যক্ষ মাওলানা ক্বারী আবুল বাশার, (চন্দ্রপুর মাদরাসা), মাওলানা রুহুল আমীন নূরী, আলহাজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী আল কোরায়শী, আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ শেখ শোয়াইব হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল মালেক, হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহম্মদ ইমাম হাসান, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ রাসেল, মুহম্মদ বাদশাহ সোলাইমান, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল হালিম, মাওলানা মুহম্মদ ওমর ফারুক, মাওলামা মুহম্মদ শাহজালাল, আল্লামা আলহাজ খোরশেদ আলম রেজভী, মুহম্মদ আজিজুল হাসান ইমরান, মাওলানা শহিদুল ইসলাম-যুগ্ম সম্পাদক সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।