বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আমি মরে গেলে সবাই শান্তি, তবে তাই হোক। আমার মা বলে আমার জন্য নাকি উনি সকলের নিকট দোষী এবং কালার কিন্তু কেন দোষী তা আমি জানিন। তাই আমি চলে গেলাম। আমার মৃত্যুর খবরটা যেন কাজল ও কুদ্দুছকে দেওয়া হয়। এভাবেই আবেগঘন বেশ কয়েকটি চিঠি লিখে যান চৌদ্দগ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যাকারী আইয়ুব আলী পাটোয়ারী (২৯)। সে উপজেলার পৌরসদর এলাকার পাঁচরা গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের পুত্র। স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে বসতঘরের ভুতুরের সাথে গামছা পেছানোর অবস্থায় তার লাশ দেখা যায়। ধারনা করা হচ্ছে সে বুধবার রাতের যে কোন সময়ে সে গামছা পেছিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
একই চিরকুটের নিচে অপর লেখায় দেখা যায়; আমার মাকে দোষমুক্ত করে গেলাম, ভালো থেকো “মা”। কুদ্দুছকে যন্ত্রনামুক্ত করে গেলাম, ভালো থেকে “কুদ্দুছ”। কাজলকে ভয়মুক্ত করে গেলাম, ভালো থেকে “কাজল”। চিরকুটের এক কর্ণারে ছোট করে লিখে যান, এই তিনজন মানুষের ভালোর জন্যই আমি আমার জীবন উৎসর্গ করলাম, আল্লাহ এই তিনজন মানুষকে তুমি ভালো রেখো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিরকুটে লেখা মা ব্যতিত অপর ২ জনের মধ্যে কাজল আইয়ুবের স্ত্রী আর অপরজন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার কুদ্দুছ দীর্ঘদিন আইয়ুবের সহকর্মী হিসেবে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুফুয়ার একটি ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ছিলেন। এই বিষয়ে চিরকুটে প্রদানকৃত কুদ্দুসের নাম্বারে ফোন করলে সে জানান, আমি দীর্ঘদিন পূর্বে তার সাথে চাকুরীতে চৌদ্দগ্রাম ছিলাম। বর্তমানে আমি দশমিনার গ্রামের বাড়িতে থাকি। তার আত্নহত্যার ঘটনাটি আমি শুনেছি। চিরকুটে আত্নহত্যার জন্য তার দায়ী থাকার বিষয়টি প্রকাশের ঘটনায় সে জানায়, হয়তো কোনভাবে ফাসানোর জন্যই তার নাম দেওয়া হয়েছে। কুদ্দুসের দেওয়া তথ্যমতে জানা যায়, নাটোরের বনপাড়া উপজেলার কাজলের সাথে বিগত ২০১৬ সালের ৩১ এপ্রিল আইয়ুবের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।