Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ

সম্প্রসারিত বিসিক প্রকল্প ব্যয় ৯৮ কোটি ৮৫ লাখ

| প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : রেলওয়ে আন্ডারপাস নির্মাণ না করায় গোপালগঞ্জে সম্প্রসারিত বিসিক প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ ১ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। বিসিক প্রকল্প সংলগ্ন এলাকার পাশ দিয়ে গোপালগঞ্জ-ভাটিয়াপাড়া-টুঙ্গিপাড় রেল লাইনের নির্মাণ কাজ চলছে। এ রেল লাইনের উচ্চতা মহাসড়ক থেকে খুব বেশি হয়েছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে বিসিক নির্মিত এ্যাপ্রোচ রোড হয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে খাড়া ¯েøাপে শিল্পনগরীতে যানবাহন চলাচল ঝুকিপূর্ণ। এ বিবেচনায় বিসিকের এ্যাপ্রোচ রোডে ২ লেনের একটি আন্ডারপাস নির্মাণে রেল প্রকল্পকে অনুরোধ করে বিসিক। এ ব্যাপারে আন্তঃমন্ত্রনালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে আন্ডারপাস নির্মাণের সুপারিশ করে। সে সুপারিশের প্রতি রেল প্রকল্প গুরুত্ব দেয়নি। ১ মাস আগে শিল্পমন্ত্রী আমির হোমেন আমু রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সম্প্রসারিত বিসিক প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ শহরতলীর হরিদাসপুরে মধুমতি নদীর তীরে ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ঘেঁসে ৫০ একর জমির উপর ৯৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ২০১০ সালে গোপালগঞ্জ সম্প্রসারিত বিসিক প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে বিসিকের সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট, ভূমি উন্নয়ন, রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট, সীমানা প্রাচীর সহ এ প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ শিল্পনগরীতে ৩৬০ টি শিল্পপ্লটে ২৫০টি শিল্প ইউনিট গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থান সৃস্টি হবে আড়ই হাজার মানুষের। চলতি বছর এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু রেলেরআন্ডারপাস নির্মাণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় গত ১ বছর ধরে বিসিকের উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে গোপালগঞ্জ-ভাটিয়াপাড়া-টুঙ্গিপাড় রেল লাইনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আন্তঃ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিসিক প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত ৫০ একর জমি থেকে ঢাকাÑখুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন ১৬.১০ একর জমি রেল প্রকল্পের কাছে শর্তসাপেক্ষে হস্তান্তর করা হয়। ফলে বিসিক প্রকল্পটি মহাসড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঢাকা খুলনা মহাসড়ক থেকে বিসিকে প্রবেশের জন্য সংযোগ সড়ক, আর্ডারপাস, ওভারপাস, ফুট ওভারব্রিজ, রেলস্টেশন নির্মাণ করে দেবে বলে রেলওয়ে বিসিকের জমি গ্রহণ শর্তে উল্লেখ করে।
গোপালগঞ্জ সম্প্রসারিত বিসিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এ.এম জসীম উদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মিণ কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলে বড় বড় শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে। এ শিল্পনগরীতে শিল্প স্থাপনে দেশের খ্যাতনামা উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আন্ডারপাস না হলে বিসিক শিল্পনগরীতে মহাসড়ক থেকে যানবাহন চলাচল করতে পারবেনা। এতে উদ্যোক্তরা এ শিল্পনগরী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে রেলওয়েকে আন্ডারপাস নির্মাণের সুপারিশ করেছে। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। সর্বশেষ ১ মাস আগে শিল্পমন্ত্রী রেলমন্ত্রীকে আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন। এ্যাপ্রোচ সড়কে আর্ডারপাস নির্মাণে রেল কর্তৃপক্ষ গরিমশি করছে। তারা হরিদাসপুরের নিমতলা সড়ক বিসিকের জন্য ব্যবহার করতে বলছে। এ সড়ক ২/৩ ফুট উচু করলে নিমতলা আন্ডারপাসের সাথে যানবাহনের ছাদ ঠেকে যাবে। স্বাচ্ছন্দে যানবাহন চলাচল করতে পারবেনা। এছাড়া এ সড়ককে বিসিকের সাথে সংযুক্ত করতে নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। নির্মাণ করতে হবে নতুন রাস্তা। রেল প্রকল্পের অর্থায়নে এ্যাপ্রোস সড়কে আর্ডারপাস করে দেয়ার শর্ত থাকলেও রেল কর্তৃপক্ষ তাতে অনিহা দেখাচ্ছে। এ কারণে শিল্পনগীর ১০ ভাগ কাজ ঝুলে আছে ১ বছর ধরে। তাই যথা সময়ে শিল্পনগরীর কাজ সম্পন্ন করা নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ