Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রায়পুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখনো ঊর্ধ্বগতি

| প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


হারুনুর রশিদ, রায়পুর (ল²ীপুর) থেকে : ল²ীপুরের রায়পুরে রমজানে পৌর শহরসহ সকল হাট-বাজারে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে দফায় দফায় উপজেলা প্রশাসনের বৈঠক ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালালেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে যেসব পণ্য ইফতার ও সেহরির সময় লাগে, সেসব পণ্যের দাম বেড়েছে মাত্রাহীনভাবে। মূল্যবৃদ্ধির জন্য বরাবরের মত সরবরাহ কম থাকাকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি করেছেন ক্রেতারা। ভোক্তাদের অভিযোগ- দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের। চাল, ডাল, ছোলা, রসুন, পেঁয়াজ, আলু থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যই বিক্রি হচ্ছে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা ও মুরগির দাম ৮০ টাকা বেশি দরে। কোনো কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে তার চেয়েও বেশি। দু-তিনদিনের মাথায় বাজারের এই লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, বাজার মনিটরিংয়ের জন্য কোনো বাজার কমিটি নেই। তবে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার পাশাপাশি সরকারি নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন ক্রেতারা। গতকাল মঙ্গলবার পৌর শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, আলু ২৩ টাকা, পেঁয়াজ ৩২ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০ টাকা কেজি, কাঁচাকলা ৩০ টাকা, মুড়ি মোটা ১২০ টাকার স্থলে ১৬০ টাকা, ৭০ টাকার ট্যাং ৯০ টাকা, ২৮ টাকা হালির ডিম ৩৫ টাকা, খেঁজুর ১৫০-২৭০টাকা, আদা ৮০-১১০ টাকা, প্যাকেট ছোলা কেজি ৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ থেকে ৮০ টাকা হারে। গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫০০-৫৮০ টাকা, ১২০ টাকার ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজিতে ও দেশি মুরগি কেজি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ রোজা শুরুর দুইদিন আগে এসব বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪৫ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, আলু ১৫ টাকা, পেঁয়াজ ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজি ও কাঁচকলা ২৫ টাকা হালি বিক্রি হতে দেখা গেছে। তিন-চারদিন আগেও গরুর মাংস বিক্রি হয় ৪০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩০ ও দেশি ৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও চালের দাম গত দু-তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে অন্তত দুই টাকা হারে বেড়েছে। অন্তত রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নেবে প্রশাসন, এমনটাই দাবি পৌরবাসীর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম। শহরের বিভিন্ন বাজার, শপিংমলে নিয়মিত চলছে এ অভিযান। তবুও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না বাজার। এছাড়াও বাজার স্থিতিশীল রাখতে মূল্য তালিকা টাঙানোসহ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। বাজারে কোনো কমিটি না থাকায়ও কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ