Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোরে জমে উঠছে ঈদ মার্কেট দেশী সূতি কাপড়ের চাহিদা বেশি

| প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 যশোর থেকে রেবা রহমান : প্রচন্ড গরমে ঠেলাঠেলি করে জিনিসপত্র কেনা কষ্টকর, তবুও এবার আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা হচ্ছে, এই চিত্র যশোরের মার্কেটের। এবার সুতি কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। যশোর কাপুড়িয়া পট্টিতে ঈদের মার্কেট করতে আসা চৌগাছার এক গৃহবধু। তিনি স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে পছন্দসই কেনাকাটা করার সময় বললেন, দাম এবার বেশী। আগেভাগেই কেনাকাটা করছি বিভিন্ন দোকান ঘুরে। দোকানীরা বলছেন, রমজানের তৃতীয় দিন থেকেই বাজারে ক্রেতাসাধারণকে আসতে দেখা যাচ্ছে। রমজানের আগেও কেউ কেউ এসেছেন। যদিও মূল বেচাকেনা শেষের দিকেই হয় প্রতিবারই। ঝিকরগাছার এক ব্যবসায়ী স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন যশোর এইচ এম এম রোডে। কথা হয় তাদের সঙ্গে। বললেন, কেনাকাটা তো করতেই হবে। তাই আগেভাগেই করা ভালো। সাধ আছে সাধ্য নেই-ঈদের ক্ষেত্রে তা যেন প্রযোজ্য নয়। যেভাবেই হোক পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন জামা কাপড় ও জিনিসপত্র কেনার ব্যাপারে কার্পন্য করা ঠিক হবে না। তাই ছুটে এসেছি। একই ধরণের কথা বললেন কাপুড়িয়া পট্রির মনসা বস্ত্রালয়ে চৌগাছার এক কলেজ শিক্ষক। তিনি বললেন, যাকাতের কাপড় কেনা ও বিলি করতে সময় লাগবে, তাছাড়া পরিবারের পছন্দসই কাপড় জুতা স্যান্ডেল কিনতে তো সময় লাগবে, তাই সময় হাতে নিয়ে ঈমার্কেটে নেমেছি। 

শুধু যশোর নয়, বরাবরের মতো এবারও জেলার সকল উপজেলায় ঈদ মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। তবে লক্ষ্য করা গেছে, বাহারী ও নামী দামী জিনিসপত্র ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম। যে যার সাধ্যমতো জিনিস কিনছেন বেশ হিসাব-নিকাশ করে। যাকাতের জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন গরীব, দুঃস্থ ও অভাবী লোকজন। যারা প্রতিবছরই একাধিক লোকের কাছ থেকে পবিত্র ঈদুল ফেতরে যাকাতের কাপড় চোপড় পেয়ে থাকে। রমজানের মাঝামাঝি থেকে পাড়া ও মহল­ায় দানশীল অর্থবিত্তশালী লোকদের বাড়ী বাড়ী যাকাত নেয়ার জন্য ভিড় লাগবে।
যশোরের মুজিব সড়কের সুইসুতা, কাপুড়িয়া পট্রির বিদিশা, আঁচল, মনষা বস্ত্রালয়, অন্যন্য সড়কের রং ফ্যাশন, শাড়ী ঘর, জেস টাওয়ার, তাঁত কুটির, বিদিশা, লিবার্টি স্যু, লেডিস কর্ণারসহ বিভিন্ন অভিজাত বিপণীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে, অভিজাত বিপণীতে বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে কম। বেশী বিক্রি হচ্ছে সাধারণ ঈদ মার্কেটে। যশোরে গরীবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত কালেক্টরেট মার্কেটে ভিড় বেশী। এক ব্যবসায়ী বললেন, এবার শিশু ও কিশোরদের পাঞ্জাবী, জুতা, স্যান্ডেল ও টি শার্ট এবং থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশী। বড়দের জিনিসপত্রও বিক্রি হচ্ছে কম। ইমিটেশনের কানের দুল, চুড়ি ও পারফিউমের দোকানেও ভিড় আছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ