পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) খুলনাতে সরকারে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ইসি প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বর্ণালী বাহিনী নন বরং এখন তারা “খাঁচায় পোরা তোতা পাখি”। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনে পছন্দের লোকজনদেরকে ঢুকিয়ে সুষ্ঠু ভোট যাতে না হয় সেজন্য হাত-পা বেঁধে দিয়েছেন।
আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সরকার তার কর্তৃত্ব সম্প্রাসারন করে ইসিকে কব্জায় নিয়েছে। খুলনার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ভোট সন্ত্রাসের এক অভিনব নতুন মডেলের নির্বাচন যা বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি খারাপ নজির সৃষ্ঠি করলো। যে নির্বাচনে বিএনপির সমর্থকসহ সাধারণ ভোটারদের অধিকার হরণ করে তাদের হাত-পা বেঁধে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে চেপে ধরে আওয়ামী লীগকে জয় আদায় করে দিতে সক্ষম হয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী এমপিদের প্রচারণায় অংশগ্রহন না করার কথা বলছেন, সরকার দলীয় একজন এমপি যিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট আত্মীয়, একটানা পনের দিন সেখানে অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে কিভাবে খুলনাতে জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন তা দেশবাসী দেখেছে গণমাধ্যমের বদৌলতে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নতুন মডেলের “চমৎকার” খুলনা সিটির অর্ধেকেরও কম ভোটার ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি, কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারেনি হাজার হাজার ভোটার। যে নির্বাচনের পর লজ্জায় আজও নির্বাচন কমিশন কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারেনি। যে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। যে নির্বাচনে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জাল ভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের তদন্ত দাবি করছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগি প্রতিষ্ঠানগুলো। যে নির্বাচনে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র বাবার সঙ্গে ভোট দিতে পারে, মরা মানুষ ভোট দিতে পারে, সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে লাইন ধরে সিল মারতে পারে সে নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছসিত প্রশংসায় এটাই প্রমানিত হলো যে, ভোট ডাকাতির হুকুম দাতা সরকারের শীর্ষ নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিস্কার হয়ে গেছে আগামী নির্বাচনও হবে খুলনা মডেলে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তিনি নিজেই প্রমাণ করলেন তাঁর অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্টিত হলে তা হবে বিরোধী দলগুলোর জন্য আত্মঘাতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।