পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে যদি অবাধ সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল (রোববার) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি একথা বলেন। প্রতিবছর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কুটনীতিকদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করলেও এবার তার কারাবন্দি ও অনুপস্থিতিতে গতকাল তৃতীয় রোজায় বিএনপির পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়। ইফতারে কুটনৈতিকদের স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে রমজানের ইফতারে স্বাগত জানাচ্ছি।
আমি নিশ্চিত যে, আজকে বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিত আপনারা উপলব্ধি করছেন। আজ বেগম জিয়া পরিত্যক্ত জেলখানার চার দেওয়ালে মধ্যে কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছেন। তাকে একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলায় বিনাদোষে কারাবন্দি হয়ে সুবিচার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক যুগে বর্তমান অবস্থা আমরা আমাদের বিদেশী বন্ধুদের সাথে শেয়ার করছি। তবে আমরা বুঝি যে, আমাদের যে সংগ্রাম সেটা আমাদের নিজেদেরকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
ইফতারে কোরের ডীন ভ্যাটিকেন সিটির রাষ্ট্রদূত আর্চ বিশপ জর্জ কোচেরী, ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ,চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুও, সউদী আরবের উপ-রাষ্ট্রদূত আমীর বিন ওমর বিন সালেম, কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া প্রিফনটেইন, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবালেত, প্যালেস্টাইনের চার্জ এফেয়ার্স ইউসেফ রামাডান, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারেটা কুলিনারে প্রমূখ ছিলেন। এছাড়ার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, পাকিস্তান, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, ভুটান, ইরান, মরক্কো, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কুটনীতিকরা ইফতারে অংশ নেন।
ইফতারে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুলাহ আল নোমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর নাসির উদ্দিন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম আকবর খন্দকার, ইসমাইল জবিউলাহ, আবদুল কাইয়ুম, এনামুল হক চৌধুরী, একরামুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, নওসাদ জমির, ফাহিমা মুন্নী, রুমিন ফারহানা, নজরুল ইসলাম আজাদ, জেবা খান, তাবিথ আউয়াল, বেবী নাজনীন, মীর হেলালউদ্দিন, শাহ মো. নেসারুল হক ইফতারে অংশ নেন। ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাহবুব উলাহ, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুলাহ চৌধুরী, সাংবাদিক সৈয়দ কামাল উদ্দিন, মাহবুবউলাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত সচিব হেমায়েত উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন, অধ্যাপক সাহিদুজ্জামান, অধ্যাপক রোরহান উদ্দিন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী ফেরদৌসী আরা, নাসির উদ্দিন বখতিয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দীন দিদার প্রমূখ ইফতারে উপস্থিত ছিলেন। ইফতারের আগে কারাবন্দি অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আরোগ্য লাভসহ দেশে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।