Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আসুন দেশের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হই : মির্জা ফখরুল

রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপির ইফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চেয়ারটি ফাঁকা রেখেই সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ রাজনীতিবিদদের নিয়ে ঢাকার লেডিস ক্লাবে ইফতার করলেন দলটির নেতারা।
গতকাল (শনিবার) দ্বিতীয় রোজায় বিএনপির এই আয়োজনে দলীয় চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে মঞ্চে রাজনীতিবিদদের পাশে তার আসন শূন্য রাখা হয়। মঞ্চে খালেদা জিয়ার শূণ্য চেয়ারের এক পাশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর সভাপতি প্রফেসর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। অতিথি সারিতে বসে ইফতার করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি‘র আসম আবদুর রব, তার স্ত্রী তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক।
ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রাজনীতিবিদদের স্বাগত জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, প্রতি বছর আমরা এই ইফতারের আয়োজন করি। এই ইফতারের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন আমাদের নেত্রী, ১৬ কোটি মানুষের প্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজকে তিনি আমাদের মাঝে উপস্থিত নেই। তিনি এই সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে আজকে তাকে ইফতার করতে হচ্ছে। আমরা সবাই সেজন্য আজকে ভরাক্রান্ত।
দেশের এই দুঃসময়, গণতন্ত্রের চরম সংকটে আমরা সবাই প্রত্যাশা করি যে, আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ মূল্যবান অবদান রাখবেন এবং সংকট উত্তরণে তারা নেতৃত্ব দেবেন। আমরা মনে করি এই সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবার জন্য আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমাদের উদার্ত আহবান থাকবে দেশের প্রয়োজনে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
ইফতার অনুষ্ঠানে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর সভাপতি বি চৌধুরী বলেন, আজকে বিএনপির নেতারা বেশি না হলেও কর্মীদের ভয়ে বুক কাঁপে ধুর ধুর করে। কাঁপবে না কেনো? তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। কি হবে যদি আবার সরকারি দল ক্ষমতায় আষে- এবারে আমাদের কি হবে? এটা স্বাভাবিক শঙ্কা। অভিজ্ঞতায় বলে খুব সুবিধা হবে না। একইভাবে সরকারের কিছু কিছু রাজনৈতিক কর্মী আমার কাছে আসছেন তাদেরও বুক কাঁপে। যদি বিএনপি আসে তাহলে তাদের কি হবে? এটা কী খুব ভালো কথা, এটা কী রাজনীতির জন্য শুভ, এটা কী দেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ? এটা কী ইঙ্গিত নয় যে, দেশ একটা পর্যায় যেতে পারে যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করে, নিগৃত করবে, জেলে দেবে, আগুন জ্বালিয়ে দেবে। কিন্তু থামাবে কে? আমি চিন্তার খোরাক দিয়ে গেলাম।
তিনি বলেন, এমন একটা শক্তি দরকার যে ওদিকেও কনট্রোল করতে পারে, এদিকেও কনট্রোল করতে পারে। তারা যদি উঠে আসতে পারে। বলে দেয়- তোমরা যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দাও তাহলে সমর্থন উইথড্র করবো, গোল্লায় যাও, বিরোধী দলে যাও। ওটাও বলবে, ওটাও বলবে। একমাত্র তাহলেই দেশ রক্ষা পেতে পারে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমাদের দেশে যেন সেরকম দুযোর্গ না আসে। আমরা যেন মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালো ভাবতে শিখি।
২০ দলীয় জোটে মধ্যে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এম এম আমিনুর রহমান, শাহিদুল রহমান তামান্না, জাগপার রেহানা প্রধান, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারোয়ার, আবদুল হালিম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিমউদ্দিন, মোবারক হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, মাওলানা আবদুল করীম, খেলাফত মজলিশের মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, বিজেপি‘র আবদুল মতিন সউদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এসএমএম আলম, আহসান হাবিব লিংকন, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, সাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপি‘র ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টির দুই অংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দুই অংশের মাওলানা নুর হোসাইন কাশেমী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল মান্নান, আমীনুল হক, জয়নাল আবেদীন, রুহুল আলম চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, গোলাম আকবর খন্দকার, জিয়াউর রহমান খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আনহ আখতার হোসেইন, সুজাউদ্দিন, আবদুল কাইয়ুম, শাহিদা রফিক, নজমুল হক নান্নু, আব্দুল কুদ্দুস, মামুন আহমেদ, এনামুল হক চৌধুরী, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, জিএম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, আবদুস সালাম আজাদ,আবদুল বারী ড্যানি, শহিদুল ইসলাম বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, নাজিমউদ্দিন আলম, অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আনোয়ার হোসেইন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, হাফেজ আব্দুল মালেক, শাহ মো. নেসারুল হক, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ইফতারে অংশ নেন। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী নজরুল ইসলাম মনজুও ইফতারে ছিলেন। ইফতারের আগে কারাবন্দি অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আরোগ্য লাভসহ দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।



 

Show all comments
  • AI ২০ মে, ২০১৮, ১২:১৮ এএম says : 0
    কোনো লাভ হবে না। এক দলের রাজত্ব থাকবে চিরকাল। এটাই বাস্তবতা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ