Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কয়রায় বেড়িবাঁধ ভাঙনে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা আতঙ্কে এলাকাবাসী

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে : কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের জোড়শিং বাজারের বেড়িবাধঁঁ হঠাৎ নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। নদী ভাঙনে দোকানপাঠসহ মৎস্য ডিপো নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেলেও ভাঙরোধে কোন কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ঐ এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ রয়েছে আতঙ্কে। অনেকে গত দুই দিন নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। নতুন করে আবারও প্রায় দুইশ ফুট এলাকার বেড়িবাধঁ ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ঐ এলাকার মানুষ আতঙ্কে তাদের ঘরবাড়িতে থাকা জিনিসপত্র অন্যত্রে সরিয়ে নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার ভোর রাতে জোড়শিং বাজারের বেড়িবাধঁ হঠাৎ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ভাঙনের কারনে বেড়িবাধেঁর পার্শ্বে অবস্থিত ৬টি দোকান ও ৩টি মৎস্য ডিপো নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হঠাৎ রাতে ভাঙনের কবলে পড়ায় অনেকের দোকানে থাকা মালামাল সরিয়ে নিতে না পারায় অনেক ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই থেকে জরুরী ভিত্তিতে বেড়িবাধঁ রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের বার বার তাগিদ দেওয়া হলেও কি কারণে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তার প্রশ্ন মিলছেনা বলে জানিয়েছে এলাকবাসি। এই সময় জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা না হলে যে কোন মুহুর্তে বিস্তিৃর্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জোড়শিং বাজারের মুদি ব্যাবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, আইলা সব হারিয়ে পাউবোর বেড়িবাধেঁ কোন রকম একটি দোকান তৈরি করে ব্যবসা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতাম। হঠাৎ নদীভাঙনে তা সব বিলিন করে দিয়েছে। এরপর নদী ভাঙনরোধে কাজ করা হলে মনে হয় লোকালয়ে বসবাসের স্থানটুকু লবণ পানি প্রবেশ থেকে বাঁচতে পারতাম। দক্ষিণ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান জিএম কবি শামসুর রহমান বলেন, জোড়শিং বাজারের বেড়িবাধঁ ভাঙনের বিষয়টি পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানো হয়েছে। তারপরও তাদের অনীহার কারণে আজকে সাধারণ মানুষের এই পরিস্থিতি। এত ক্ষতির পরেও ভাঙন রোধে কাজ না করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি ক্ষোভের সাথে আরও বলেন, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের অনেক এলাকার বেড়িবাধঁ ভয়াবহ ভাঙনের কবলে। এগুলো বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার করা না হলে আইলার মতো নদী ভেঙে আবারও গোটা এলাকা প্লাবিত হবে। স্থানীয় এলাকাবাসির দাবি জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙনে ব্যাবস্থা গ্রহণ না করা হলে জোড়শিং এলাকার নদীর বেড়িবাধঁ সম্পুর্ণ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ ব্যাপারে পাউবোর আমাদী সেকশন কর্মকর্তা মোঃ মসিউল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জোড়শিং বাজারের বেড়িবাধঁ ভাঙনের বিষয়টি ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা বলেন, জোড়শিং বাজারের বেড়িবাধঁ ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য পাউবো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ