বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সসরাসরি অংশগ্রহণ করেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে না বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) বা মুজিব বাহিনীর যোদ্ধারা। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৭ বছর এবং আ’লীগ সরকারের মন্ত্রী সভার নীতিগত সিদ্ধান্তে দীর্ঘ বছরেও মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পায়নি নরসিংদীর বিএলএফ যোদ্ধারা। গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাখিলকৃত লিখিত আবেদন মতে বিএলএফ যোদ্ধা খোরশেদ আলম ও মতিউর রহমান বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের দেরাদুন বিএলএফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ১২জন মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
এই ১২ জন প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা দেশে ফিরে মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২০টি বিএলএফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে বহুসংখ্যক মানুষকে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দান করে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহে রাইফেল, এসএলআর ও গ্রেনেড হামলা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরপর এসব প্রশিক্ষিত যোদ্ধারা মনোহরদী, বেলাব, কটিয়াদি, মাধুপুর কাচারি ও রামপুর বাজারে পাক বাহীনির বিরুদ্ধে সক্রিয় ও সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হবার পর ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা বিএলএফ যোদ্ধাদের প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে। আবেদনপত্রে বলা হয়েছে টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকি, গোপালগঞ্জের হেমায়েত উল্লাহ, সিরাজগঞ্জের মির্জা আব্দুল লতিফের মতো মনোহরদী থানা কমান্ডার আবুল হাসনাত বাচ্চুর নেতৃত্বে বিএলএফ যোদ্ধারা মনোহরদী-বেলাব এলাকাকে শত্রæ মুক্ত করে। কিন্তু এতদসত্বেও দেশের ভিতর প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করার কারণে ৬ শতাধিক বিএলএফ যোদ্ধাকে মক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় নাই। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যুদ্ধকালীন কমান্ডার আবুল হাসনাত বাচ্চু ৬০৩ জন বিএলএফ যোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের আবেদন জানান। পরবর্তীতে অনলাইন মাধ্যমেও আবেদন জানানো হয়। পরে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি বিএলএফ যোদ্ধাদের তালিকা যাচাই বাছাই করে বিএলএফ ও সহযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন।
এর আগে ১৯৯৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রী সভার বৈঠকে বিএলএফ যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর কেটে গেছে আরো ২১ বছর। শতশত বিএলএফ যোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবার আশায় বুক বেধে রয়েছেন। তাদের প্রত্যাশা পরিসমাপ্তি ঘটছে না। গত ২২ মার্চ নরসিংদীর বিএলএফ মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট পুনরায় এক আবেদনপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাদের একান্ত প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিএলএফ যোদ্ধাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।