Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাজশাহীর সবজি বাজারে অভিযান

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : সরবরাহে ঘাটতি অজুহাত তুলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরেক দফা চড়েছে। শাক সবজির দাম চড়েছে অস্বাভাবিক হারে। গতকাল শনবিার সকালে নগরীর প্রধান বাজার সাহেব বাজার কাঁচা বাজারে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। রাজশাহীর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছে সরবারহ কম থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে যাবে। এ সময় ব্যবসায়ীদের থেকে দ্রব্যমূল্য শোনা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সালাহউদ্দীন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল, শরিফ আসিফ রহমান, শারমিন আক্তার, তাসলিমা জাহান, ব্যবসায়ী নেতা সেকেন্দার আলীসহ বাজার কমিটির সভাপতি। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল গণমাধ্যমকে জানান, তারা বাজার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছেন। এছাড়া যেসকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পণ্যের দামের লিস্ট টানানো নাই তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে টানাতে বলা হয়েছে। নইলে গুনতে হবে জরিমানা। এছাড়া রাজশাহীর চারটি বাজারে দ্রবমূল্য নিয়ন্ত্রণ অভিযান চালানো হচ্ছে। এগুলো হলো- সাহেব বাজার, নিউ মার্কেট, হড়গ্রাম বাজার, বিনোদপুর বাজার। গতকাল রাজশাহী বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা ও লেবু ২০ টাকা হালি। এদিকে, কাঁচা কলা ২০ টাকা হালি, পেঁপে ৫০ টাকা ও কাকরোল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর সাহেববাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা তুহিন জানান, সব তরকারির দাম বেশি। সবজির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা বলছে সরবারহ কম তাই দাম বেশি। তারা বেশি দামে কিনছেন, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে, বেড়েছে সবধরনের গোশতের দাম। বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা। সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। বাজারে ব্রয়লার ১৪৫ টাকা, লেয়ার সাদা ১৮০ টাকা, সোনালী ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন সপ্তাহ খানিক পরেই দাম কমতে শুরু করবে। প্রতিবছরই রমজানের আগে দাম বাড়ে সপ্তাহ খানিক পরে দাম কমতে থাকে। ফের ঈদের আগেদিয়ে বাড়ে। এটিই চলে আসছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ