Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এতিম সন্তানদের অধিকার আদায়ে ৮ বছর থেকে লড়ছেন এক মা

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা: শিল্পপতি স্বামীর রেখে যাওয়া কোটি কোটি টাকার সম্পদই যেন এখন জীবনের জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতিম দুই শিশু সন্তানদের পিতার সম্পত্তিতে অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ওয়ারিশদের অবৈধ দখল ও থাবা থেকে ওই সম্পত্তি রক্ষায় প্রতিনিয়ত লড়াই করে যেতে হচ্ছে। এজন্য চারিত্রিক অপবাদসহ শারীরিক নির্যাতন সহ্য করে চলেছেন দীর্ঘ ৮ বছর থেকে। তারপরও প্রশাসন বা সমাজপতিদের সহযোগিতা না পেয়ে চরম দূর্দশায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে অসহায় এক বিধবা মা কে। সম্প্রতি নির্যাতনের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই মানবাধিকার সংগঠনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেছেন। এতেও যদি কেউ এগিয়ে না আসে তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।সাংবাদিকদের কাছে আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন- আপনারাই আমাকে বাঁচাতে পারেন অত্যাচারীদের হাত থেকে। নতুবা অচিরেই আমার মৃত্যুর খবর পাবেন আপনারা। কেননা হয় তারা আমাকে মেরে ফেলবে নয়তো আমি নিজেই নিজেকে শেষ করে দিবো।
শাহিন আরও বলেন- ২০১০ সালের ২৭ জুলাই আমার স্বামী শিল্পপতি পারভেজ আলম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারপর থেকেই আমার শ^শুড়-শ^াশুড়ী, ভাসুর ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে আমার স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করাসহ প্রাণে মেরে ফেলার জন্য নানামুখী নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার এতিম দুই সন্তান নুরে এলাহী ইব্রাহিম (১১) ও মোহাম্মদ নুর ইসাহাক (৮) কে তাদের পিতার সম্পত্তিতে কোন প্রকার অধিকার দিতে আগ্রহী নয় স্বামীর পরিবারের সদস্যরা। প্রায়ই তারা সপরিবারে আমার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এমনকি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যে চারিত্রিক অপবাদ দিয়ে লাঞ্চিতও করেছে। এজন্য আমি সন্তানদের অধিকার আদায়ের জন্য আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে কয়েকটি মামলা করি। এই মামলাগুলোতে আমার পক্ষে রায় হওয়ায় এবং এখনও বিচারাধীন ২টি মামলা তুলে নিতে আমার উপর চাপ সৃষ্টি করতে তাদের ষড়যন্ত্র ও নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে। সাংবাদিকদের কাছে পেয়ে শাহীন পারভীন আরও বলেন, আমার স্বামীর একান্ত প্রচেষ্টায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমে সৈয়দপুর শহরে ৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাসহ বাড়ি-গাড়ী, জমি-জায়গা ও বিপুল পরিমান সম্পত্তি অর্জন করেছেন। তিনি এসবের সবগুলোতেই তার বাবা খোরশেদ আলম ও বড় ভাই জামসেদ আলমকেও অংশিদার করেছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর আজ তারাই সন্তানসহ আমাকে তার অর্জিত সম্পত্তি থেকেই বঞ্চিত করতে অমানবিক নির্যাতন ও নোংরামীর আশ্রয় নিয়েছেন। এমনকি তার স্মৃতি বিজরিত বাড়ির কক্ষটি থেকেই বিতারিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যা কোনভাবেই বরদাশত করার মতো নয়। এ প্রসঙ্গে শাহীন পারভীনের ভাসুর জামসেদ আলমের মেয়ে ফাতেমা জাসমেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক ব্যাপার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ