বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর ব্যুরো : দুর্নীতির কাছে মাথা নত না করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘বাধা যত বড়ই হোক না কেন, সেটা যদি হিমালয়েরও চেয়ে বড় হয়, তাহলেও আমি মাথা নত করবো না। আমি যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি, ততদিন বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত রাখবো।’ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের চ্যান্সেলর সম্মেলন কক্ষে ভিসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের বর্ণনা দেন। ড. আনোয়ার বলেন, ‘আমি যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন নিয়োগ প্রক্রিয়ার নানা অনিয়মের বিষয়ে আপনাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রশ্ন তুলেছিলেন। গত এক বছরে একজন অধ্যাপক, সাত জন সহযোগী অধ্যাপক, ৩৭ জন প্রভাষক, পাঁচ জন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা এবং ২১ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীসহ মোট ৮৬ জনকে নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, উন্মুক্ত নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন একাডেমিশিয়ান এবং গবেষক। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পরপরই একাডেমিক উন্নয়নের জন্য আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কেন্দ্রীয় বা অভিন্ন একাডেমিক ক্যালেন্ডার ছিল না। ফলে বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষ বা সেমিস্টারের পরীক্ষা বিক্ষিপ্তভাবে বছরের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হতো। এতে অযাচিত কালক্ষেপণ হতো। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সম্পন্ন করা দুরূহ হয়ে উঠছিল। এখন একটি কেন্দ্রীয় এবং অভিন্ন একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে একজন শিক্ষার্থী ভর্তির পরপরই জানতে পারছে, কখন তার ক্লাস শুরু হবে; কবে পরীক্ষা হবে এবং ফলাফল প্রকাশ হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।