বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পাানিবদ্ধতায় ৫শ’ বিঘা জমির ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। বৃষ্টিতে পানিবদ্ধতার কারণে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের পূর্ব লখন্ডা পাথারের ধান প্রায় তলিয়ে গেছে। অপরিকল্পিভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও তেলিকান্দার খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। সেখানে শ্রমিকরা পানির মধ্যে ধান কাটতে নামলেই জোকে আক্রমণ করে। এছাড়া ওই পাথারের পানি পচে গেছে। ধান কাটা শ্রমিক পাথারে নামলেই শরীরে চুলকানি শুরু হয়। এ কারণে ধানকাটা শ্রমিক ধান না কেটেই পালিয়ে যাচ্ছে। কৃষক জমির ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। লখন্ডা গ্রামের কৃষক মিন্টু কাজী বলেন, গোহালা ও ননীক্ষীর ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের পাথারের পানি অপেক্ষাকৃত নিচু পূর্বলখন্ডা পাথার হয়ে তেলিকান্দির ছোট খাল দিয়ে গোহালার বড় খালে নেমে যেতো। গোহালা ইউনিয়নের প্রসন্নপুর থেকে তেলিকান্দা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তেলিকান্দির খাল ভরাট হয়ে গেছে। তাই পানি নামতে পরেছেনা। বৃষ্টির পানি এসে জমা হচ্ছে পূর্ব লখন্ডার পাথারে। এতেই পাানিবদ্ধাতার সৃষ্টি করেছে। ওই পাথারে আমাদের ৫৫ বিঘা জমিতে রোবো ধান রয়েছে। ধান কাটা শ্রমিক পাচ্ছিনা। যারা ধান কাটতে আসছে জোকের আক্রমন ও চুলকানির কারণে পালিয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তুলতে পারব কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পূর্ব লখন্ডা গ্রামের কৃষক হান্নান শেখ, দুলু কাজী, মোস্তফা মিনা ও রশিদ মিনা বলেন, তেলিকান্দির খাল খনন করা হলে আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাব। এছাড়া ৭শ’ থেকে ৮ শ’ মিটার ড্রেন নির্মাণ করে পাথার থেকে গোহালা খালে সংযোগ করে দেয়া হলেও আমাদের পূর্ব লখন্ডা পাথারে পানিবদ্ধতা থাকবেনা। ধান নিয়ে এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবো। ধানকাটা শ্রমিক শাম শেখ, কালিমুল্লাহ মুন্সি বলেন, এখানে ধানের গাছ পানিতে তালিয়ে গেছে। ধানের শীষ জেগে আছে। ধান কাটতে খুব কষ্ট হয়। তারপর পানির মধ্য দিয়ে ধান মাথায় করে বয়ে আনতে হয়। এতে কষ্ট আরো বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি পাথারে নামলেই জোক আক্রমন করে। শরীর চুলকায়। এ সব কারণে শ্রমিকরা ধানকাটা ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছে। গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাফি উদ্দিন বলেন, মুকসুদপুরের পূর্ব লখন্ডা পাথারের পানিবদ্ধতা নিরসনে আমাদের হাতে কোন প্রকল্প নেই। এ পানিবদ্ধতা নিরসনে বড় ধরনের কোন খাল খনন বা অন্য প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজন হলে, আমরা সম্ভাব্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।