বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
মোফাজ্জল হোসেন
বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহাসিক ষাটগুম্বজ মসজিদ। বাংলাদেশের বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে এটি পরিচিত। বিশ্বমানবের ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কো পৃথিবীর যে কয়টি পুরাকীর্তির নিদর্শন তালিকাভুক্ত করেছে তার মধ্যে ষাটগুম্বজের উল্লেখ রয়েছে। মানব সভ্যতার এগুলো প্রধান সোপান। বর্তমানে এর গুরুত্ব বৃদ্ধিতে এবং পর্যটক আকর্ষণ করার জন্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। সাউথ এশিয়া ট্যুরিজম ইনফ্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট-এর আওতায় বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতœ তত্ত্ব অধিদপ্তর এর অবকাঠামো স্থাপন, পর্যটকদের অবকাশকেন্দ্র, বাংলো, রেস্ট হাউজ, উন্নতমানের ক্যাফেটেরিয়া, প্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণ করছে।
বাগেরহাট শহর থেকে প্রায় দু’মাইল দূরবর্তী রণবিজয়পুর গ্রামে খান জাহান আলী রোডের উত্তরপাশে বহুসংখ্যক গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদ দৃষ্ট হয়, এর নামই ষাটগুম্বজ মসজিদ। এই ষাটগুম্বজ মসজিদকে অনেকে পীর খান জাহান আলীর অমরকীর্তি বলে ধারণা করেন। বাগেরহাটে রয়েছে হযরত খান জাহান আলীর নানা কীর্তি।
বাগেরহাট একটি প্রাচীন জনপদ। দেশের দক্ষিণ প্রান্তে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনের পাদপীঠে ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। এ অঞ্চলে পাল ও সেন বংশীয় রাজাদের আমলের পর ইসলামী জ্ঞান তাপস হযরত খান জাহান আলীর আগমনে ব্যাপক জনবসতি শুরু হয়। বাগেরহাট যেতে হলে ঢাকা থেকে বিমান, রেল, সড়ক কিংবা নৌপথে খুলনা এবং খুলনা থেকে সড়ক কিংবা নৌপথে বাগেরহাটে যাওয়া যায়। এ অঞ্চলের সাথে যে মহাপুরুষের নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, যার আগমনে এই পুন্যভূমি ধন্য তিনি খান জাহান আলী। তাঁর আমলে এই জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল এক সমৃদ্ধ জনপদে রূপান্তরিত হয়। তিনি ছিলেন একাধারে পীর ও শাসনকর্তা। কিংবদন্তির নায়ক খান জাহান আলীর জীবনালেখ্য বৈচিত্র্যময়। তাঁর জন্ম সাল, জন্ম স্থান কোথায় ইত্যাদি বিষয়ে ইতিহাসে কোনো উল্লেখ নেই। তবে ইতিহাসবিদরা অনুমান করেন, তিনি পারস্য দেশীয় মুসলমান ছিলেন। স্বীয় প্রতিভাবলে তিনি দিল্লির সম্রাট মোহাম্মদ তোঘলের মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিত হন।
খান জাহান আলী কোথা থেকে কীভাবে বাংলাদেশে আসেন এ নিয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু তিনি যে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের যশোর জেলার বারোবাজারে আসেন, সে বিষয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কোনো মতভেদ নেই। দিল্লির রাজশাসনে অরাজকতার সুযোগে তিনি বাংলাদেশে এসে ইসলাম প্রচার ও রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। কথিত আছে, তিনি ১১ জন আউলিয়া ও ৬০ হাজার সৈন্যসহ দিল্লি হতে ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে আগমন করেন। তিনি প্রথমে বারোবাজার এসে অনেকগুলো দিঘি, মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। বারোবাজারের ঐতিহাসিক জরাজীর্ণ মসজিদটি আজো খান জাহানের কীর্তি ঘোষণা করছে। তিনি বারোবাজারে বেশ কিছুদিন অবস্থান করেন। এখানে ইসলাম প্রচারসহ মসজিদ নির্মাণ, দিঘি খনন ও অসংখ্য রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছিলেন। এরপর তিনি অরণ্য ভূমি কেটে পথঘাট নির্মাণ করে বারোবাজার থেকে বিজয়পুর, মুরলী, ছানি ও কসবা হয়ে বাগেরহাটে উপস্থিত হন।
মুরলী হতে খান জাহানের অনুচরবর্গ দুই দলে বিভক্ত হন, একদল সুন্দরবনের দিকে এবং অন্যদল ভৈরব নদীর তীর ধরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে। তাঁর চলাচল পথ তদীয় কীর্তিরাজির দ্বারা চিহ্নিত হয়ে আছে। তিনি বাগেরহাট এসে সঙ্গী মোহাম্মদ তাহেরকে নিয়ে (যিনি ব্রাহ্মণ থেকে মুসলমান হয়েছিলেন) একটি ইসলামী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এর নামকরণ করেন খলিফাতাবাদ। আর সেই ইসলামী রাজ্যের রাজধানী ছিল হাবেলী পরগনার বাগেরহাটে।
কোরান-সুন্নাভিত্তিক ইসলামী রাজ্য খলিফাতাবাদ প্রতিষ্ঠার পর তিনি গৌড়ের সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদের সাথে সখ্য গড়ে তোলেন। আজো বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে খান জাহানের কীর্তিরাজি দিঘি, মসজিদ রাস্তাঘাট ইত্যাদি। খান জাহানের শ্রেষ্ঠতম কীর্তি ষাটগুম্বজ মসজিদ। হাবেলী পরগনায় ৩৬০টি দিঘি খনন ও ৩৬০টি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন হযরত খান জাহান আলী। এসব অঞ্চলে কিংবদন্তি আছে যে, এক রাতের মধ্যেই এসব দিঘি ও মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল এবং হযরত খান জাহান দৈত্য ও জিন দ্বারা এসব তৈরি করেছিলেন।
তাঁর সর্বপ্রথম কীর্তি ষাটগুম্বজ মসজিদের কাছে রয়েছে ঘোড়াদিঘি। এই দিঘির দৈর্ঘ্য ১০০০ হাত এবং প্রস্থ ৬০০ হাত। এই বিশালকার দিঘির নাম নিয়ে আছে নানা প্রবাদ। একটি ঘোড়া এক দৌড়ে যতো দূর গিয়েছিল ততো দীর্ঘ নাকি এই দিঘি খনন করা হয়েছিল। তাই এর নাম হয়েছে ঘোড়াদিঘি। আবার অনেকের মতে, এই স্থানটা ঘোড়া দৌড়ের মাঠ ছিল বলে তার নাম হয় ঘোড়াদিঘি।
ঘোড়াদিঘি পূর্ব তীরে খান জাহানের শ্রেষ্ঠতম কীর্তি এই ষাটগুম্বজ মসজিদ। দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট এবং প্রস্থ ১০০ ফুট। ভেতরে গম্বুজের উচ্চতা ২২ ফুট। বিশাল হর্ম্যরে সম্মুখ দিকে মাঝখানে একটি বড় খিলানের পাশে উভয় দিকে পাঁচটি করে ছোট খিলান আছে। প্রাচীরের প্রশস্ততা ৯ ফুট। ষাট গম্বুজ স্থাপত্য বৈচিত্র্যে ভাস্বর। গোলাকার গম্বুজের হেলানভাব, সরল অলস্ককরণ ও কার্নিশের বক্রতায় তোঘলক স্থাপত্যরীতির প্রভাব বিশেষভাবে পরিদৃষ্ট। এর ভেতর, বাইরে ত্রিভুজাকার অংশে ফুল-লতাপাতা ইত্যাদি পোড়ামাটির অলঙ্করণ আছে। মাঝে মধ্যে বহুগুণ রঞ্জিত মীনা করা চাকচিক্যময় টালির ব্যবহার দৃষ্ট হয়।
পূর্ব-পশ্চিমে ৬০টি স্তম্ভের ওপর সাতটি করে এগার শ্রেণীতে সর্বমোট ৭৭টি গম্বুজ আচ্ছাদিত একটি আয়তাকার স্থাপত্য এটি। সত্তরটি গম্বুজ গোলাকৃতির, মধ্যের সারিতে চৌকোণাবিশিষ্ট সাতটি গম্বুজ আছে। গম্বুজগুলো চৌচালা রীতিতে নির্মিত। এই গম্বুজের মোট সংখ্যা ২৫টি। পশ্চিম দিকে একটি ছোট দরজা আছে। দরবার চলার সময় খান জাহান আলী ও তাঁর আমাত্যগণ এই পথে যাতায়াত করতেন। মসজিদের চারকোণে চারটি মিনার রয়েছে। ছাদ থেকে কয়েক ফুট উচ্চ এবং এর মধ্যে ক্ষুদ্র কুঠুরি রয়েছে। পূর্বদিকের দুটি মিনার ঘুরানো সিঁড়ি ছিল। এখন তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অনেকেই বলেন, ষাটগুম্বজ সংখ্যা ষাটটি। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। গম্বুজ সংখ্যা মোট ৭৭টি। ৭৭টি গম্বুজের মধ্যে ৭০টির উপরিভাগ গোলাকার এবং মধ্যের এক সারিতে চার কোণবিশিষ্ট ৭টি গম্বুজ আছে। গম্বুজের সংখ্যা মোট ৭৭টি। মিনারের গম্বুজ সংখ্যা ৪টি। মিনারের চারটিসহ মোট গম্বুজের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮১টিতে। তবুও এর নাম হয়েছে ষাটগুম্বজ। এর কারণ সর্ম্পকে কোনো কোনো ঐতিহাসিকরা বলেন, সাতটি সারিবদ্ধ বলে এ মসজিদ সাত গম্বুজ এবং তা থেকে ষাটগুম্বজ নাম হয়েছে। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, মসজিদের গম্বুজগুলো ৬০টি প্রস্তর নির্মিত স্তম্ভের ওপর অবস্থিত বলেই এই মসজিদের নাম ষাট গম্বুজ হয়েছে।
মসজিদটি নামাজের জন্য ব্যবহৃত হতো ঠিকই। তবে মাঝে মাঝে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য দরবার বসতো মসজিদে। বলা যায়, মসজিদভিত্তিক সমাজব্যবস্থা তিনি গড়ে তুলেছিলেন। শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতো মসজিদ। রাজ্যের শাসনসংক্রান্ত কাজসমূহ মসজিদেই সম্পন্ন হতো।
খান জাহান আলীর দরগাহ আর একটি বিস্ময়কর কীর্তি। এখানে তাঁর মাজারও অবস্থতি। জীবনের শেষ দিনগুলো তিনি এখানে কাটিয়েছেন বলে জানা যায়। এক গম্বুজবিশিষ্ট এই সমাধি সৌধের চারদিক দেয়াল বেষ্টিত এবং দেয়ালের পরিধি চার হাত। সমাধি যাতে নোনায় ধ্বংস হয়ে না যায়, সেজন্য এমন প্রশস্ত দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছিল। বাইরে দেয়াল চারকোণা। ভেতরে দেয়াল আটকোণাবিশিষ্ট এবং ২৪ ফুট দীর্ঘ হয়ে তা হতে গোলাকৃতি বৃহৎ গম্বুজ প্রস্তুত হয়েছে। মাজারের প্রবেশ পথে রয়েছে বৃহৎ তোরণ। দরগাহটি পাথর তৈরি। চারদিক থেকে সিঁড়ির মতো করে তিনটি ও নিচে ইটের একটি, এই চারটি স্তরে সাজিয়ে ওপরে কবর আকৃতির অর্ধগোলাকৃতির একটি পাথর বসানো রয়েছে। এই দরগাহর সমস্ত পাথরেই কোরানের বিভিন্ন আয়াত, দোয়া-দরুদ আরবি ভাষায় লেখা আছে। যেমন কালেমা তৈয়বা, কালেমা শাহাদত, রাসূলুল্লাহ ও তাঁর পরবর্তী চার খলিফার নাম, চারজন ফেরেস্তার নাম। মাজারের পশ্চিম দিকে আয়াতুল কুরসি, সূরা কাফেরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস উৎকীর্ণ রয়েছে।
হযরত খান জাহান আলীর মাজার থেকে কিছুদূর পশ্চিমে গেলে আর একটি মাজার চোখে পড়ে। এ মাজারটি জিন্দাপীরের মাজার বলে পরিচিত। তাঁর আসল নাম সৈয়দ শাহ মুহম্মদ। তিনি একজন আউলিয়া ছিলেন। জিন্দাপীরের মাজারটি এক গম্বুজবিশিষ্ট এবং এর আকৃতিতে খান জাহান আলীর মাজারের সঙ্গে মিল রয়েছে, তবে এই মজারে পাথর ব্যবহৃত হয়নি। জিন্দাপীর খান জাহান আলীর সমসাময়িক বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন এবং তাঁর প্রধান সহকর্মীদের একজন বলেও মনে করা হয়।
খান জাহান আলীর মাজারের পশ্চিমে এবং জিন্দাপীরের মাজারের পূর্বদিকে একটি স্থান, ছিলিয়াখানা নামে পরিচিত। শোনা যায়, এখানে খান জাহান আলীর অস্ত্রাগার ছিল। ছিলিয়াখানা অর্থ অস্ত্রাগার। এখানে বড় প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান। জিন্দাপীরের মাজার থেকে আরও কিছুদূর অগ্রসর হয়ে রণবিজয়পুর কাজি বাড়ির কাছে আরও একটি মাজার দেখা যায় এটা ‘পাগলা পীরের মাজার’ নামে খ্যাত। হযরত খান জাহানের প্রধান সহকর্মী আবু তাহেরের মাজারের পাশের দেয়ালের ওপর ৫টি একেবারে ছোট মাজারের মতো রয়েছে। লোকে বলে এগুলো খান জাহান আলীর পোষা শালিকের কবর। শালিকগুলো খান জাহানের চিঠিপত্র আদান-প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হতো। আজো বাগেরহাটে জিন্দাপীরের সমাধি, খাঞ্জালি দিঘি, হোসেন শাহী মসজিদ ও পীর আলী মোহাম্মদ তাহেরের সমাধিতে প্রচুর ভক্তের আগমন হয়।
খান জাহান আলী মসজিদ ও দিঘির পাশাপাশি যাতায়াতের সুবিধার জন্য অনেক রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছিলেন। তাঁর নির্মিত রাস্তার মধ্যে সামন্তসেনা হতে পিলজঙ্গ পর্যন্ত ‘হাতির ধরার’ রাস্তা নামে একটি রাস্তা ছিল। এখনও সে রাস্তার চিহ্ন দেখা যায়। তাছাড়া ষাটগুম্বজ থেকে পশ্চিমমুখী সামন্তসেনা পর্যন্ত পাকা রাস্তার চিহ্ন এখনো আছে। এটাই খান জাহানের বৃহত্তম পাকা রাস্তা। এ ছাড়া ভৈরব নদীর তীরে তাঁর আমলে রাস্তা এখনও বিদ্যমান।
যশোর-খুলনা ও বাগেরহাট অঞ্চলে খান জাহান আলী যে ইসলামী রাজ্য খলিফাতাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দীর্ঘ ৫০ বছর তিনি তা শাসন করেছিলেন। খান জাহান আলীর ৮৬৩ হিজরির ২৬ জিলহজ, ১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর কবর গাত্রে এই তারিখ লিপিবদ্ধ আছে। মৃত্যুর পর তাঁরই নির্মিত সৌধে তাঁকে সমাহিত করা হয়। তাঁর মাজারে প্রতিদিন অগণিত দর্শক ও ভক্ত শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
খান জাহান আলীর জীবনগাঁথা রূপকথার মতোই বিস্ময়কর। তাঁর অমরকীর্তি ষাটগুম্বজ মসজিদ। প্রতিদিন দেশ-বিদেশের অগণিত দর্শকের ভিড়ে মুখরিত থাকে এর প্রাঙ্গণ আর সবাই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে এর নির্মাণ কর্তাকে। সুন্দরবন অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে খান জাহান আলীর অসংখ্য কীর্তিরজি, যা আজও বহন করছে হারিয়ে যাওয়া সোনালি দিনগুলোর কথা।
লেখক : গ্রন্থকার, গবেষক ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।