Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের দাপট

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


জেলা পরিষদের ৯৯, পঞ্চায়েত সমিতির ৯০ ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৩ শতাংশ আসনে জয়ী ঘাসফুল
ইনকিলাব ডেস্ক : ভোটের আগেই এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের রেকর্ড সংখ্যক আসনে ফয়সালা হয়েছে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায়। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ মিলিয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে এবার কোনও ভোট হয়নি। আর যেসব আসনে লড়াই হয়েছে, তাতেও দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের একচেটিয়া দাপট। এক্ষেত্রেও রেকর্ডের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত হয়েছে ১৪ জন।
এখনও পর্যন্ত জেলা পরিষদের যেক’টি আসনের ফল সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৯৯ শতাংশ আসনেই জিতেছে তৃণমূল। মাত্র এক শতাংশ আসনে জয়ী বামেরা। ১০টি জেলা পরিষদ হয়ে গেছে বিরোধী দলশূন্য। অর্থাৎ সবগুলোই গেছে ঘাসফুলের দখলে।
পঞ্চায়েত সমিতির ফলাফলও সেইদিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, সেই অনুযায়ী প্রায় ৯০ শতাংশ আসনে জয়ী তৃণমূল। বিজেপি জয়ী মাত্র ৭ শতাংশ আসনে। বামেরা পেয়েছে মাত্র ২ শতাংশ আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে এক শতাংশেরও কম ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ২১ হাজার ৩৮৭টি পঞ্চায়েত সমিতি, বিজপি ৫ হাজার ১৭৩, বামেরা ১ হাজার ৪৯০, কংগ্রেস ৯৫১ এবং নির্দলরা পেয়েছে ১ হাজার ৮০৯টি পঞ্চায়েত সমিতি।
এখনও পর্যন্ত সামনে আসা ফলের নিরিখে গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের জয়ের হার কিছুটা কম। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭৩ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি এ খবর পাওয়া পর্যন্ত পেয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ আসন। বামেরা জিতেছে মাত্র ৫ শতাংশ আসনে। কংগ্রেস পেয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ আসন। অন্যান্য জয়ী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ আসনে।
বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জয়ের রেকর্ডের পর এবার বাকি আসনেও কি জয়ের রেকর্ড গড়বে তৃণমূল? পরিষ্কার হয়ে যাবে ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফলপ্রকাশের পরই।
তবে ফলাফল যা-ই হোক না কেন, একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, এককালের বাম দুর্গ যেমন তছনছ হয়ে গেছে তেমনি উত্থান ঘটছে বিজেপির। আর কংগ্রেসের অস্তিত্ব আছে বলে স্বীকার না করারই ভালো।
এদিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা শেষ না হতেই ডিগবাজি শুরু হয়ে গেছে। বিজেপির টিকিটে ৭০ ভোটে জিতে মমতা দিদির উন্নয়ন কাÐে শামিল হতে দলবদল করেছেন মালদার মালবাজার বøকের কুমলার গ্রামের কলেজপড়–য়া সিন্টু রায়। মমতা গত বৃহস্পতিবারই বলে রেখেছিলেন, অনেক বিরোধী প্রার্থী জিতেও তার কাছে আবেদন করে রেখেছে তৃণমূলের উন্নয়নে শামিল হতে চায় বলে। তবে তিনি ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। সিন্টু রায়ের ডিগবাজি দিয়ে সেই দলবদলের সূচনা হল বলে মন্তব্য অনেকের। সূত্র : এবিপি আনন্দ।


রমজানে বাজার ঊর্ধ্বমুখী: পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম চড়া
স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র মাহে রমজান শুরুতেই বাজারগুলোতে নিত্যপন্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। গত সপ্তাহ থেকেই রাজধানীর বাজারগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী সবজীর বাজার। মাংসের বাজার, ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজ-রসুনের বাজারে সরবরাহ বিপুল। তারপরেও দাম বেড়েছে এসব নিত্যপণ্যের। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও এবং শান্তিনগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহের থেকে সবজির দর প্রতি কেজি ৩০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৭০ টাকায় উঠেছে। মাছের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ।
বাজারভেদে ভালো মানের বেগুণ প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা, তাজা ও কচি দেশি শসা ১০০-২০ টাকা, সাধারণ দেশি শসা ৬০-৭০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৮০ টাকা এবং মাঝারি আকারের এক হালি লেবু ৩৫-৪০ টাকা দাম চান। ফলে কয়েক দিন আগেও যে বেগুন ৫০ টাকা ছিল, তা এখন দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে ৪০ টাকার শসা তাঁরা কিনতে পারছেন ৭০ টাকায়।
বিশ্ববাজারে দাম কমলেও বাজারে কেজিতে চিনির দাম বেড়েছে ৫ টাকা। ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে কমার সুফল হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীদের কমিশন বেড়েছে, ভোক্তারা সুফল পায়নি। ছোলার দামও যতটা কমার কথা, ততটা কমেনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ