বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি মহল্লায় অবস্থিত ‘কলেজেক্স’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের ভয়ঙ্কর প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে ২০১৮ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ ভর্তি ইচ্ছুক শতাধিক শিক্ষার্থীরা। তাদের এমন প্রতারণায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। উত্তেজিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা গত বৃহস্পতিবার কলেজেক্স এর প্রিন্সিপাল মো: কামরুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং মারধর করারও চেষ্টাও চালায়। পরে মুচলেখা দিয়ে রক্ষা পান। বিষয়টি নিয়ে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়েরও করেছেন ভুক্তভোগি স্বজনরা। রোববারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা সমাধান করে দিবেন বলে লিখিতভাবে আশ্বাস প্রদান করা হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চলে যান। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। জানা গেছে, মো: কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন যাবত ‘কলেজেক্স’ নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। চলতি বছর এসএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে তাদের রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে ওই শিক্ষার্থীদের না জানিয়েই নিজেরাই গোপনে তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে অনলাইনে আবেদন করে। ভুক্তভোগীরা জানান, কলেজেক্স এর শিক্ষক সানাউল্লাহ গাজী, মো: মহসিনসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৌশলে রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার তারা নিজেরাই ঐ ছাত্রছাত্রীদের না জানিয়েই ‘কলেজেক্স’ এর নামে অনলাইনে আবেদন করেন। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে দেখতে পান তাদের আবেদন করা হয়ে গিয়েছে কলেজেক্স এর নামে। শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, আবু বক্কর সিদ্দিক, হুদয় নুর, ছাব্বির হোসেন, আলী হোসেন বলেন, কলেজেক্স কর্তৃপক্ষ এভাবে শতাধিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এসএমএস করিয়ে দিয়েছে। তবে তাদের তালিকায় শুধুমাত্র কলেজেক্স কলেজ এর নাম রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থীদের ফ্রি এসএমএস করে দেওয়ার নামে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছে। এ ঘটনায় চন্দনা ও লাবনী নামের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখার এসএসসি পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের অগোচরে একই কলেজের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন করেছে বলেও শিক্ষার্থীর অভিযোগ করেছেন। সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইবনে ফরহাদ বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি। এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল মো: কামরুজ্জামান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের ২-৩ জন শিক্ষক না বুঝে কাজটি করেছে। রোববারের মধ্যে বিষয়টি আমি সমাধান করে দিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।