বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতাঃ রাজশাহীর তানোরের মুÐুমালায় পুলিশের বিরুদ্ধে চার মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুÐুমালা পৌরসভার মাহালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় চার মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ ছেড়ে দিলেও চাহিদামত টাকা না দেয়ায় এক মাদকসেবীকে মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মুÐুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই কাওসার আহমেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এএসআই কাওসারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাহালিপাড়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এসময় চোলাই মদসহ ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সুনিল, নিতাই, ডালিম এবং বিপিন ওরফে গুডুকে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসার পথে মাহালিপাড়া মোড় সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী স্থানে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই মোড়ের উপস্থিত লোকজন পুলিশের এ ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন।
এদিকে ওই এলাকা থেকে ওই সময় চোলাই মদ পান করে পার্শ্ববর্তী চিমনা এলাকার আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ বাড়ি ফিরছিলেন। পুলিশের দলটি এসময় আসাদকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দেয়ায় আসাদকে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে যায়। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেয়া হয়। গতকাল সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মাহালিপাড়া এলাকাটি মুÐুমালা পৌরসভায় মাদকজোন হিসাবে পরিচিত। আদিবাসী অধ্যুষিত এ এলাকাটির দুই শতাধিক বাড়িতে চোলাই মদ, ইয়াবা এবং ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি হয়। অভিযোগ রয়েছে, এএসআই কাওসার এ এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় করেন। এছাড়া কাওসারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চোরাই গাছসহ ট্রলি (শ্যালোমেশিন চালিত যানবাহন) ধরার পরে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। তাছাড়া এ পুলিশ কর্মকর্তা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় এবং বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তবে অর্থের বিনিময়ে চার মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই কাওসার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মাত্র একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে মাসাহোরা নেয়ার অভিযোগ সঠিক না বলে দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে মুÐুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি অসুস্থ। ছুটিতে আছি। যোগদান করার পর বিষয়টির খোঁজ নেব। ঘটনার সত্যতা পেলে এএসআই কাওসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।