Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে বাহারি প্যাকেটের খেজুর কিনে ঠকছেন ক্রেতারা

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


সিলেট ব্যুরো : রমজানে ইফতারের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে খেজুর। পবিত্র এ মাসে বেশি চাহিদার খেজুর ক্রেতাদের কাছে বেশি দামেই বিক্রি করা হয়। কিন্তু বিদেশি বলে চালিয়ে দেয়া খেজুরগুলো আসলেই কি মানসম্মত, সে বিষয়ে চোখ নেই কারো। আকর্ষণীয় মোড়ক আর বক্সে সাজানো এসব খেজুর ক্রেতারাও কিনছেন দেদারসে। অথচ খোলাবাজার থেকে কিনে আনা এসব খেজুর তেল মাখিয়ে আর অনেকটা সাজিয়ে প্যাকেটে ভরলেই হয়ে যাচ্ছে দামি খেজুর। পুরোবছর জুড়ে সাধারণ মানের খেজুর পাওয়া গেলে রমজান মাসে বাজারে দেখা যায় অসংখ্য রকমের খেজুর। দেশি-বিদেশি এসব খেজুর নানা প্যাকেটে নানা মোড়কে চড়া দামে বিক্রি করা হয়। তবে বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এরকম আকষর্ণীয় প্যাকেটের খেজুর বিক্রি করেই ব্যবসায়ীরা আদায় করেছেন নিচ্ছেন অধিক মুনাফা। আর বাহারি রঙের প্যাকেটের খেজুর কিনে ঠকছেন ক্রেতারা।
রমজান মাস এলেই সাধারণ মুদির দোকান থেকে শুরু করে সুপারসপগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয় বিভিন্ন রকমের খেজুর। খোলা অবস্থায় বিক্রি করা খেজুরের দাম একটু কম হলেও প্যাকেট করা খেজুরের দাম বেশ চড়া। সিলেটে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সাধারণ খেজুরের দাম জানা গেল প্রতি কেজি ২০০ টাকা। কিন্তু মরিয়ম, রাইদা, বড়ই ইত্যাদি নামের খেজুর বিক্রি হচ্ছে আরো বেশি দামে। বড় দোকানগুলোতে আকর্ষণীয় প্যাকেটে ভরা বিদেশি খেজুর বিক্রি হয় আকাশছোঁয়া দামে। আকর্ষণীয় মোড়ক আর আরবি হরফের লেখা দেখে ক্রেতারাও সরলবিশ্বাসে কেনেন এসব খেজুর।
রমজান মাসের সপ্তাহ আগ থেকেই দেখা গেল অন্যরকম চিত্র। অনেকে সিলেটের বাইরে থেকে আনাচ্ছেন বস্তা বস্তা খেজুর। আবার সিলেটের কালিঘাট থেকে ব্যবসায়ীদের অনেকেই কিনে আনছেন বস্তাবন্দি খেজুর। সাথে কিনে আনছেন প্লাস্টিকের বক্স কিংবা কাগজের প্যাকেট। বাজারে কিনতে মিলছে ইংরেজি কিংবা আরবি হরফে লেখা বিদেশি খেজুরের ছবি দেয়া বিভিন্ন রঙের ট্যাগ। এসব ব্যবসায়ীরা খেজুরগুলো ধুঁয়ে-মুছে কিংবা তেল মাখিয়ে প্যাকেটে আর বক্সে ভরছেন সাথে লাগিয়ে দিচ্ছেন আকর্ষণীয় ট্যাগ। অনেক ব্যবসায়ীরা খেজুরের স্বাদ বাড়াতে কাজে লাগাচ্ছেন ফ্রুট ফ্লেভার। আর এসব খেজুর প্যাকেট ভর্তি করাও হয় অনেকটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। তার ওপর ঠিক রাখা হচ্ছেনা সঠিক ওজনও করা হচ্ছে জালিয়াতি। পরে সেগুলো ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বাজারে। সাধারণ মূল্যে কেনা এসব খেজুর বাজারে বাক্সবন্দী হয়ে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। বিদেশি বলে বিক্রি হওয়া এসব খেজুরের মান, মেয়াদ আর সঠিকতা যাচাইয়ে মনিটরিং না থাকায় ঠকছেন সাধারণ ক্রেতারা। অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্যাকেট করা আর ফ্লেভার মেশানো এসব খেজুর খেয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ