Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভৈরবে ইয়াবাসহ মাদক বিক্রেতা স্বামী-স্ত্রী আটক

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : যে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পুলিশ, র‌্যাব সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজনও হয়রানির শিকার হতে হয়, ভৈরবের সেই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর নাম মো: ফরিদ মিয়া। বয়স ৩৮ বছর। স্ত্রী ইয়াসমিনের বয়স ৩৫। দুজনই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল ও গাঁজা বিক্রির মাধ্যমেই সে এলাকায় পরিচিত। ইয়াবা আসার পর থেকে ইয়াবা নিয়েই তার কারবার। এসব ইয়াবা ব্যবসা করে প্রচুর টাকার মালিকও হয়েছেন। তারই টাকার কাছে শুধু সাধারণ মানুষজনই নয় পুলিশ, র‌্যাব সহ আইন শৃংখলা বাহিনীও যেন নিরুপায়। তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় অন্তত দেড় ডজন মাদকের মামলা দায়ের হয়েছে। তবু থেমে নেই তার এ মাদক ব্যবসা। রাজনৈতিক ও আইনশৃংখলা বাহিনীর কথিপয় কিছু লোকজনের সাথে গোপন যোগাযোগ থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্বেও আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকজন তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ উঠে। গত একবছর আগে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ মাদকের ব্যবসা করবে না এমন মুচলেখাও দিয়েছেন সুশীল সমাজ কর্তৃক আয়োজিত এক মাদক বিরুধী সমাবেশে। মুচলেখার অজুহাতে কৌশলে মাদক ব্যবসা চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ সে প্রায় সময় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তোলেছেন পুলিশ তাকে হয়রানি করছেন। র‌্যাব ও পুলিশ বেশ কয়েকবার ফরিদকে মাদকের বড় চালান সহ আটকও করেছে। তারপরও আইনের ফাঁক দিয়ে সে বেড়িয়ে এসে দেদারছে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল আইনশৃংখলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। মাদক ব্যবসায়ী ফরিদের খুটির জোর কোথায়? তা হয়ত আমাদের অজানা। তবে মাদক ব্যবসায়ী ফরিদকে কারা শেল্টার দেয় তা খুঁজে বের করাও আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্ব বলে মনে করছেন ভৈরববাসী।
দীর্ঘদিন পর হলেও ভৈরবের সেই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মো: ফরিদ মিয়া ও তার স্ত্রী ইয়াসমিনকে ৪ হাজার ৯শত পিস ইয়াবা সহ শহরের গাছতলাঘাট এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন ঢাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। ১৭মে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক আহাসানুর রহমান ও পরিদর্শক মো: মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে গোয়েন্দা শাখার একটি টিম ফরিদ ও ইয়াসমিনকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেন মাদকদ্রব্য গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো: মনিরুজ্জামন। তিনি জানান, বেশ কয়েক দিন যাবৎ মাদক ব্যবসায়ী ফরিদের গতিবিধি পর্যাবেক্ষণ করেন এবং ইয়াবার পাইকারি ক্রেতা সেজে নিশ্চিত হওয়ার পর ফরিদ ও তার স্ত্রীকে আটক করতে সক্ষম হন তারা। আটককৃত ফরিদ ও তার স্ত্রী ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ