Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামকে কটাক্ষের অধিকার কারো নেই : এরশাদ

প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মসজিদের ঈমাম-মুয়াজ্জিন খুন হলে প্রতিবাদ না করা এবং ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার খুন হলে রাজপথে নামার সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, খুন, হত্যাকাণ্ড এসব সমর্থন যোগ্য নয়। কাউকে খুন করা চরম অপরাধ। কিন্তু মসজিদের ঈমাম-মুয়াজ্জিন খুন হলে কেউ প্রতিবাদ করছেন না। হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন না। বিশ্ব মিডিয়াও ঈমাম-মুয়াজ্জিন হত্যার খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে না। অথচ ব্লগার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল-মিটিং হচ্ছে। বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। আজ বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টির ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্লগার হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম এবং আমাদের নবীজীকে নিয়ে কটাক্ষ করার অধিকার কারো নেই। অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কেন আঘাত হানবেন। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কারো ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা যাবে না। কিন্তু যেসব ব্লগার হত্যা হয়েছে তারা কি ইসলামের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেনি? যারা ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করেন তাদের ধ্বংস অনিবার্য।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ইউনাইটেড পার্টির মহাসচিব মাওলানা তাজুল ইসলাম ফারুকী, কামাল উদ্দীন জাহানপুরী প্রমুখ।
এইচ এম এরশাদ বলেন, আমি কোনো হত্যার পক্ষে নই। যেকোনো হত্যাই নিন্দনীয়। ব্লগার হত্যার বিচার চাই। একইসঙ্গে যারা ব্লগে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিদ্রূপ করে তাদেরও শাস্তির দাবি করি। সাবেক এ প্রেসিডেন্ট আক্ষেপ করে বলেন, ব্লগার হত্যা সাড়া পৃথিবীর মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করছে অথচ আমাদের মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার ছাত্র প্রতিনিয়ত খুন গুম হলেও এ নিয়ে কারো মাথাব্যথা নাই। কারণ তারা মুসলমান, মানুষ না। দেশে বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, আমাদের দেশে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে? আপনাদের দেশে কি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে না। আমাদের দেশ আমরা চালাব, আপনাদের কথা না শুনলেই আমরা জঙ্গি। জঙ্গি প্রসঙ্গে বলেন, জঙ্গি বলতেই আজ মুসলমানদের বুঝানো হয়। আমরা কেন আজ জঙ্গি হলাম-আফগানিস্তানে শিশুসহ হাজার হাজার নিরীহ মানুষ হত্যা করলেন এটা কি জঙ্গিবাদ নয়? তেলের কারণে ইরাককে ধ্বংস করে দিলেন, প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে হত্যা করলেন, কি দোষ ছিল সাদ্দামের? তেলের কারণে লিবিয়াকে ধ্বংস করলেন, মুয়াম্ময় গাদ্দাফীকে হত্যা করলেন। সিরিয়ার মানুষ জীবন বাঁচাতে আশ্রয় চেয়েছিল, আশ্রয় দেননি। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? মুসলমানরা এর প্রতিবাদ প্রতিরোধ করলেই এটাকে জঙ্গিবাদ বলে প্রচার করা হয়। এরশাদ বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রভুমিকে ইহুদীদের কাছে দিয়ে দিলেন; ইসরাইল মানালেন। সেখানেও হাজার হাজার নারীশিশুকে হত্যা করা হল এটা কি জঙ্গিবাদ নয়? তিনি বলেন, আমরা শান্তিতে বাস করতে চাই। মুসলমানদের মধ্যে আজ ঐক্য নেই। দেশের সকল মুসলিম সংগঠনগুলোকে একত্রিত করতে পারলেই ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্দেশ্য সফল হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ