Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষি খাতে রফতানি প্রবৃদ্ধির শীর্ষে ফল মশলা শুকনো খাবার

| প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রফতানি প্রবৃদ্ধির মধ্যে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে ফল, মশলা, শুকনো খাবার এবং তামাক। রফতানির প্রাথমিক খাতের মধ্যে হিমায়িত খাদ্য ও কৃষি খাত অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে হিমায়িত খাদ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে। তবে বেড়েছে কৃষি খাতের। এ খাতের মধ্যে থাকা চা, সবজি, প্রক্রিয়াজাতকৃত ফুল এবং অন্যান্য খাতের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কৃষিজাত পণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৫৪ কোটি ৩১ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। পুরো অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ খাতের মধ্যে চা রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে। জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে চা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪০ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ২৪ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৯ দশমিক ৮০ শতাংশ কম। পুরো অর্থবছরে চা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ লাখ ডলার। সবজি রপ্তানির ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে সবজি রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ছয় কোটি ৫০ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ছয় কোটি ৩১ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি কমেছে দুই দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সবজি রপ্তানি হয়েছিল আট কোটি ১০ লাখ ডলার। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সবজি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আট কোটি ডলার। তামাক রফতানি বরাবরের মতো এবারও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি হয়েছে। জুলাই থেকে এপ্রিল সময়ে তামাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তিন কোটি ৭৩ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে পাঁচ কোটি ২৯ লাখ ডলার, যা এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরের পুরো লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার কোটি ৫৯ লাখ ডলার। এপ্রিল থেকে জুলাই সময়ে তামাক রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি অর্জিত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তামাক রফতানি হয়েছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ফল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ সময়ে ফল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ২২ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে ফল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ লাখ ডলার। মশলা রফতানিও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেড়েছে। জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ সময়ে মশলা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন কোটি ২৫ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে তিন কোটি ৭২ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে মশলা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার কোটি ডলার। একইসঙ্গে বেড়েছে শুকনো খাবার রফতানি। এ সময়ে শুকনো খাবার রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শুকনো খাবার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ কোটি ১৬ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ১৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের শেষার্ধে এপ্রিল মাসে রফতানি আয় গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এপ্রিল মাসে রফতানি আয় হয়েছে ২৯৫ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৭৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। সে হিসাবে রফতানি আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে পুরো অর্থবছরে এপ্রিল মাস পর্যন্ত রফতানির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ছয় দশমিক ৪১ শতাংশ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ