Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেরানীগঞ্জে সরকারি খাদ্যগুদামের ২০ টন চালসহ ট্রাক আটক

| প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে কোনাখোলা সরকারি খাদ্য গুদামের ২০টন চাল ভর্তি একটি ট্রাক আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে জিনজিরা-নবাবগঞ্জ সড়ক থেকে মডেল থানা পুলিশ ট্রাকটি আটক করে। চাল ভর্তি ট্রাকটি এখন মডেল থানা হেফাজতে আছে। ট্রাকের চালক মোঃ শহিদুল শেখ (৩৫)ও হেলপার মোঃ আরিফ হোসেন(৩২)কে জ্জ্ঞিাসাবাদের জন্য থানায় বসে রাখা হয়েছে। আটক ট্রাকের নম্বর হচ্ছে ঢাকা মেট্রো-ট-২০-০৫৯১।
জানাযায় কোনাখোলা সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে একটি ট্রাক সরকারি ২০টন চাল ভর্তি করে মুন্সীগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে শাক্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে জিনজিরা-নবাবগঞ্জ সড়কে পৌছলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোঃ আলাউদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে চালভর্তি ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চালক শহিদুল শেখ জানায় ট্রাক ভর্তি চাল মুন্সীগঞ্জের মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছেছিল। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে চালগুলো মেশিনে মিনিকেট করে পরে বাজারজাত করা হবে বলে সে আরো জানায়। পুলিশ ট্রাকের চালকের কাছ থেকে ঢাকা পুলিশ সুপারের নামে একটি চালানপত্র উদ্ধার করে। পরে পুলিশ কোনাখোলা সরকারি খাদ্য গুদমের অফিসে গেলে অফিসের চালন পত্রে দেখতে পান ঢাকা আর আর এফের ওসি আব্দুর রশিদের নাম। পুলিশের কাছে এই দুইটি চালন পত্র দেখতে চাইলে পুলিশ দেখাতে অনিহা প্রকাশ করেন। এদিকে এই ট্রাকের ২০টন চালের দুইটি চালান পত্র নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক উত্তম কুমার দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকা আর আর এফের ওসি আব্দুর রশিদ খানের নামে চালন পত্রটি দেই। তবে কে এই চালান পত্রটি বুঝে নিয়েছেন তা আমি জানিনা। তিনি আরো বলেন এই চাল ট্রাকে উঠানোর সময় আমি অফিসে ছিলাম না। এছাড়া একই পরিমান চালের দুইটি ভিন্ন চালান পত্র কিভাবে হয় তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যাচাই বাছইয়ের জন্য চালভর্তি ট্রাকটি থানায় রাখা হয়েছে। যাচাই বাছাইয়ের পরে যদি কেউ দোষী প্রমানিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ