বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা: ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএর ডাক্তার শাহতাজ আলম গত ২২/০৯/২০১৫ইং তারিখে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই কর্মস্থলে থাকে না ডাক্তার শাহতাজ আলম। এ বিষয়ে সোহরাব হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৯ই মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে রাজবাড়ী জেলার সিভিল সার্জন রহিম বক্স ডাক্তার শাহতাজ আলমের তদন্তে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ তদন্তে যান। এবং তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এদিকে তদন্ত রিপোর্ট ডাক্তার শাহতাজ আলমের বিরুদ্ধে না যায় সে বিষয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে আওয়ামীলীগ নেতা ও পৌর মেয়র সাইফুজ্জামান সাইফার ও আওয়ামীলীগ নেতা আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহাদুজ্জামান সাফাই গান এবং অভিযোগকারীকে ভয়ভীতি দেখান। পরবর্তীতে আপোষ মিমাংসার একটি পায়তারা করেন। সোমবার সরোজমিনে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে ডাক্তার শাহতাজ আলমকে পাওয়া যায়নি। ১১ জন কর্মরত ডাক্তারের মধ্যে ২ জন ডাক্তারকে হাসপাতালে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রধান সহকারী আক্তারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ডাক্তার শাহতাজ আলম কোথায় কি অবস্থায় আছে আমি তা জানি না। বেতনের বিষয়ে জানান, তার বেতন সে নিজেই করেন। মাসে একবার এসে বেতন নিয়ে যান। আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর আবাসিক চিকিৎসক জাহাঙ্গীর হোসেনকেও হাসপাতাল কমপ্লেক্সএ পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সে ঢাকায় ট্রেনিং-এ আছেন। ডাক্তার শাহতাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাক্তার সুমন রায় জানান, ডাক্তার শাহতাজ আলম কোথায় আছে আমি জানি না। তবে কয়েক মাস পরপর তাকে হাসপাতাল কমপ্লেক্স-এ দেখা যায়। তিনি হাসপাতালে নিয়মিত নন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারীরা জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের কার্যালয়, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ও আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডাক্তারকে ম্যানেজ করেই ডাক্তার শাহতাজ আলম তিন বছর ধরে এভাবেই চলছেন।
ময়মনসিংহে “বন্ধুকযুদ্ধে ”হত্যা মামলার আসামি নিহত
ময়মনসিংহ ব্যুরো : ময়মনসিংহ আবারও পুলিশের ‘কথিত বন্ধুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামী নিহত হয়েছে। নিহতের নাম সারফান ইসলাম ওরফে গাঁজা বাবু (২৮)। সে নগরের কাঁচিঝুলি এলাকার চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ বাবু ওরফে পিউ বাবু হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি। রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে নগরীর তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, এ সময় ডিবি’র কনস্টেবল শফিকুল ও ২নং পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল আনিছুর আহত হন। পরে তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববার পিউ বাবু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সারফান ইসলাম ওরফে বাবুকে (২৮) ঢাকা জেলা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের এলআইসি শাখা। পরে বাবুকে সঙ্গে নিয়ে পলাতক আসামি রাজিবসহ অন্যদের ধরতে গেলে রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে নগরীর তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজিবসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জন পুলিশের উপর ইট-পাটকেল, বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে বাবু গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সারফান ওরফে বাবুকে (২৮) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি মো. আশিকুর রহমান আরো জানান, নিহত সারফান ওরফে বাবু আরমান ইসলাম ওরফে সুন্দরী আরমানসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি। এক ছিনতাইকারী সিরাজুল (৩০) নিহত হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।