Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৯ দশক ধরে দীপ্তমান কাগতিয়া কামিল মাদরাসা

কাগতিয়া কামিল মাদরাসার পুনর্মিলনীতে অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ

| প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাউজান (উপজেলা) সংবাদদাতা : প্রায় ৯ দশক ধরে কুরআন-সুন্নাহ্র জ্যোতি ছড়াচ্ছে কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসা। ১৯৩২ সালে এক যুগশ্রেষ্ঠ আলিমে দ্বীন, অলিয়ে কামিল আল্লামা শাহছুফি ছৈয়্যদ মুহাম্মদ রুহুল আমিন (রহ:) এর হাত ধরে এ মাদরাসার সূচনা হয় এবং হযরত শায়খ সৈয়্যদ (রহ:) হাতে এটি পূর্ণতা লাভ করে। এ মহা মনীষীর রূহানী ফয়েজে পরিচালিত এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, লন্ডন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে, স্বাধীন বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা দেশ, জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের খেদমত করে যাচ্ছে। মসজিদের মিনার থেকে বিশ^বিদ্যালয়, মাকতাব থেকে সচিবালয়, দাখিল, আলিম, ফাযিল, কামিল মাদরাসার আঙ্গিনা থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ইসলামের খেদমত করছে। কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার সুযোগ্য অধ্যক্ষ, কাগতিয়া আলীয়া দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ আওলাদে রাসূল (দ:) হযরতুলহাজ¦ আল্লামা শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এ কথা বলেন।
তিনি গতকাল ১২ মে শনিবার কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মাদরাসার সম্মেলন কক্ষে’ প্রাক্তন ছাত্র পুনর্মিলনী ২০১৮ এর প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এ ৮৭ বছরের সবচেয়ে বড় ও অমূল্য পাওয়া হলো হযরত শায়খ ছৈয়্যদ (রহ:)। যিনি এ মাদরাসার আঙ্গিনা থেকে জাহিরি এবং বাতেনী বিদ্যার্জন শুরু করে মা’রেফাতের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়েছেন এবং আধ্যাত্মিক জগতে বিশ^জয় করেছেন। যিনি একাধারে এ মাদরাসার ছাত্র, প্রভাষক, অধ্যক্ষ ও পৃষ্ঠপোষক এবং বানিয়ে লা-ছানী।
বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সহ-সভাপতি, চবি’র মাইক্রো বায়োজলি বিভাগের সাবেক চেয়্যারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের সভাপতি আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফী, সচিব আল্লামা মুফতি কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, কাগতিয়া মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী চবি’র যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোরশেদুল ইসলাম, মাস্টার মুহাম্মদ মোস্তফা নজরুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, এ কাগতিয়া কামিল মাদরাসাকে বিশ^ দরবারে ঐতিহ্যময় করে তুলেছেন দুই মহান মনীষী। একজন হযরত শায়খ ছৈয়্যদ (রহ:) এবং অন্যজন মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। এ দু’মনীষীর পদচারণায় এ প্রতিষ্ঠান আজ মাদরাসা জগতের মডেল। সম্মেলনে ১৯৩২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত অধ্যয়নকারী শিক্ষার্থীদের যারা বর্তমানে দেশের উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত আছেন তাদের আজীবন সম্মাননা এবং তৎপরবর্তীদের বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ১৭ জন আজীবন সম্মাননাসহ প্রায় ৪০০ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। জোহরের নামাজান্তে দ্বিতীয় অধিবেশনে। শুরুতে প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের উদ্যোগে প্রকাশিত বিশেষ স্মরণিকা ‘বাহার-এ উম্মিদ’ এর মোড়ক উম্মোচন করা হয়। এর পর শুরু হয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ।
মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ