রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভোলা থেকে এম এ বারী : ভোলায় জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইসহ দুইজন নিহত হয়েছে। গত রোববার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি পরিষদ সংলগ্ন মোস্তফা মাস্টারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ঘটনার মূল আসামি মামুন ও ফিরোজ পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি পরিষদ সংলগ্ন এলাকার মো. মোস্তফা মাস্টারের ছেলে মো. মামুনের (৪৫) সাথে ছোট ছেলে মাসুমের (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে পুলিশের দোকান সংলগ্ন মো. মামুনের বন্ধু, কাশেম মাস্টারের ছেলে মো. ফিরোজের সাথে মাসুমের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার রাত ১১টার দিকে মো. মামুন, তার বন্ধু মো. ফিরোজ, ছেলে মো. শরীফ হোসেন ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাসুমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা মাসুমকে কুপিয়ে জখম করে। হামলাকারীদের হাত থেকে মাসুমকে উদ্ধার করতে তার শ্যালক, কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদ এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। মাসুম ও জাহিদের আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে জড়ো হলে মামুন, ফিরোজ, শরীফ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে মাসুম ও জাহিদকে মুমূর্ষু অবস্থা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রাতেই মামুনের বড় ছেলে মো. শরীফ ও ছোট ছেলে আরিফকে আটক করেছে। বাকিদের ধরার জন্য পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।
ভোলা সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামুনের দুই ছেলে শরীফ ও আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযানে চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।