Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লায় হিফজুল কুরআন বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

| প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লা হাফেজ কল্যাণ সমিতি আয়োজিত নবম জাতীয় হিফজুল কুরআন বৃত্তি পরীক্ষার ফল গত রোববার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পবিত্র কুরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে যারা মানুষকে বিপথগামী করে তাদের ব্যাপারে আলেম সমাজকে সজাগ থাকতে হবে।
হাফেজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মীর হোছাইন পাটোয়ারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লার উপপরিচালক নাজমুস সাকিব ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার সাদিক মামুন। সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব আলহাজ হাফেজ মাওলানা আহছানুল করীম আল আযহারী, কান্দিরপাড় জামেমসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. আমিনুল্যাহ, সাওতাল কুরআন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ হুমায়ূন কবীর পাহাড়পুরী, প্রিন্সিপাল মাওলানা ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ। বক্তারা হিফজ শিক্ষাকে জাতীয় শিক্ষানীতির অন্তর্ভূক্ত, হিফজ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গঠনসহ বিভিন্ন দাবি জানান। হাফেজ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে নবম জাতীয় হিফজুল কুরআন বৃত্তি পরীক্ষায় চাঁদপুর, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার সাড়ে ১২শ’ হিফজ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে ৬৩১ জন বৃত্তি লাভ করে।

ইটভাটায় কাজ করে গোল্ডেন জিপিএ-৫
নাটোর জেলা সংবাদদাতা : শাকিল শাওন ইমন। এক ভূমিহীন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই বাবা আব্দুল কুদ্দুস মৃধা অসুস্থ্য হয়ে মারা যান। মা ছাবিয়া বেগম মাত্র ১২শ’ টাকা মাসিক বেতনে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। কপালের ফেরে আগে থেকেই নেই নানা-নানি ও দাদা-দাদি। ফলে দেখারও কেউ নেই। মাঝে মধ্যে ইটের ভাটায় কাজে করে পড়ার খরচ জোগাড় করত ইমন। একটিমাত্র ছোট্ট ছাপড়া ঘরে দুটি ছাগলের সাথেই বসবাস করে মা আর ছেলে। সেই ঘরে পড়াশুনা করেই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে নাটোরের পÐিতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে এই ইয়াতিম ছাত্র শাকিল শাওন ইমন। ইমন এবং তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন জানান, শুরু থেকেই সে স্কুলে বিনা বেতনে লেখাপড়া করেছে। স্কুলের সব শিক্ষক তাকে বিনা বেতন প্রয়োজন মতো প্রাইভেটও পড়িয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার সময় বোর্ড ফি ১৪শ’ টাকার প্রয়োজন দেখা দিলে ইমনের ক্লাসের বন্ধুরা বাড়িয়ে দেয় সহযোগিতার হাত। ক্লাসের বন্ধুরা সবাই মিলেই ১৪শ’ টাকা জমা করে তার এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করে দেয়। ইমন তার বন্ধু ও শিক্ষকদের সহযোগিতার সম্মান রেখেছে। একমাত্র সেই তার স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার মা ছাবিয়া বেগম জিপিএ-৫ কি আগে তা না বুঝলেও সবার কথা শুনে বুঝতে পারছেন তার ছেলে এসএসসিতে ভালো ফলাফল করেছে, তবে ছেলে এত ভালো ফলাফলে খুশী না হয়ে উল্টো এখন ছেলের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন কিভাবে সফল করবেন সেই চিন্তায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ইমনের সাথে কথা বলে জানা যায় ভবিষ্যতে সে কম্পিউটার ইঞ্জিয়ার হতে চায়। কিন্তু আশা করলেও উচ্চ শিক্ষার এ বিশাল খরচ কিভাবে জোগাড় হবে তার কুলকিনারা পাচ্ছে না। তাই সমাজের ধনী ও হৃদয়বান মানুষের কাছে তার প্রার্থনা যদি তারা শাওনের পাশে দাঁড়ান, তবে একদিন অবশ্যই শাওনের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে একজন ভালো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবেই।

 



 

Show all comments
  • মো ইয়াছিন ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ১২:৩৬ পিএম says : 0
    বৃওির রেজাল্ট
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ