Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিটকিরি ঘোষণা দিয়ে শাড়ি-থ্রিপিস কসমেটিকস আমদানি

| প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা ১ ট্রাক ভারতীয় শাড়ি-থ্রিপিস ও কসমেটিকস এর বড় একটি চালান আটক করেছে শুল্ক কর্মকর্তারা। ফিটকিরি ঘোষণা দিয়ে শাড়ি-থ্রিপিস ও কসমেটিকস আমদানি করা হয়। আমদানিকারকের নামে ইতিপূর্বে ৫টি চালানে ৫ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে বন্দরের ৩৪ নম্বর শেড’র সামনে ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্যগুলো বন্দর শেডে আনলোড করার সময় কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর নির্দেশে পণ্য বোঝাই ট্রাকটি আটক করে কাস্টমস হাউজে আনা হয়। গত শুক্রবার বিকেলে ট্রাক বোঝাই চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ঢাকার ফারদিন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে বাংলাদেশি এক আমদানিকারক ভারত থেকে ৩০০ প্যাকেজ (১৫ মেট্রিক টন) ফিটকিরি আমদানির জন্য গত ৪ এপ্রিল ব্যাংকে এলসি খোলেন। এলসি নম্বর-১৮৯১১৮০১০০৫৬। পণ্য চালানটি নিয়ে ভারতীয় একটি ট্রাক (ডাবিøউ-বি-২৩-এ-৩২৭৩) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। যার মেনিফেস্ট নম্বর-১৮৫৪৭। কিন্তু পণ্য চালানে ফিটকিরির নামে উন্নত মানের শাড়ি, থ্রিপিস ও কসমেটিকস আমদানি করা হয়েছে- এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টম হাউসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্স ম্যানেজমেন্ট (আইআরএম) টিমের একটি দল বন্দরের ৩৪ নম্বর শেডে (গুদাম) অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ট্রাকটি জব্দ করে। পরে ট্রাকের মধ্যে প্রাথমিক তল্লাশি করে ফিটকিরির বদলে উন্নতমানের শাড়ি-থ্রিপিস ও কসমেটিকস চালান দেখতে পাওয়া যায়। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করায় পণ্য চালানটি আটক করা হয়েছে। আটক পণ্য চালানের মূল্য দেড় কোটি টাকা হবে বলে তিনি জানান। কাস্টমস হাউসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্স ম্যানেজমেন্ট টিম তদন্ত করে জানতে পারেন আমদানিকারক ফারদিন ট্র্রেড ইন্টারন্যাশনাল ইতিপূর্বে একই রফতানিকারকের কাছ থেকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ৫টি ফিটকিরির চালানে ৫ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। কাস্টমস চেকপোস্ট কার্গো শাখায় ইতিপূর্বে এই আমদানিকারকের নামে আসা পণ্য চালানগুলো প্রতিবারই বেনাপোল’র বিতর্কিত একজন সিএন্ডএফ এজেন্ট রিসিভ করেছেন। যিনি বেনাপোলে রাজস্ব ফাঁকিবাজ সিএন্ডএফ এজেন্টস হিসেবে কাস্টমস এর কাছে একজন ভয়ংকর প্রতিষ্ঠান। আমদানিকারকের নামে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে যতগুলো পণ্য চালান খালাশ করে নিয়ে গেছে সেসব চালানের রাজস্ব ফাঁকির পরিমান ৫ কোটি টাকা। যা কাস্টমস কর্মকর্তারা সে সব ফাঁকির টাকা আদায়ের জন্য আমদানি কারক ও সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট’র বিরুদ্ধে থানায় মামলার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ