Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল

বিশ্ববিদ্যায় সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৮, ১:০৭ পিএম | আপডেট : ৬:২৯ পিএম, ১২ মে, ২০১৮
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আগামীকাল রোববার বেলঅ ১১ টায় সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে শিক্ষার্থীরা।
 
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
 
সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আাল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আগামীকাল রোববার বেলা ১১ টায় সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। কর্মসূচির জন্য বেলঅ ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
 
যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী ব্যক্তি হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কোটা বাতিল করে দিয়েছেন। কিন্তু তার নির্দেশনা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। গেজেট বাস্তবায়নে কমিটির দরকার হয় না। কিন্তু মন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের নামে আমাদের সঙ্গে প্রহসন করছে। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে নিজেদের অধিকার আদায়ে আবারও আন্দোলনে নামবো আমরা।
 
যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান কোনো নির্দেশ দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো তা বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোটার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি। সচিবরা কমিটি গঠনের নামে ‘ডাবল গেম’ খেলছে। আমরা বার বার বলছি আন্দোলনে যাব। আসলে আমরা আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার ব্যাপারে সময় দিচ্ছি।
 
গত ৮ এপ্রিল থেকে চারদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন।
 
পরের দিন সচিবালয়ে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।
 
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি- আগামী ৭ মের মধ্যে সরকার বিদ্যমান কোটার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। সেই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে।
 
এ সময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনও ৭ মে পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
 
 
 
এ ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল রাতে আন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়। তবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এক বক্তব্য কেন্দ্র করে ১০ এপ্রিল থেকে ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসার দাবি জানান।
 
পরে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর দিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করেন।
 
এর দুই সপ্তাহ পর গত ২৬ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবি জানান আন্দোলনকারী। না হলে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন তারা।
 
পর দিন ২৭ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
 
সর্বশেষ গত ২ মে সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো ধরনের ক্ষোভ থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ছাত্ররা কোটাব্যবস্থা বাতিল চেয়েছে, বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
 
এরপর গত ৭ মে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল বা সংস্কারের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।
 
তার এ বক্তব্যের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা

২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
১৭ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ