Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আমতলী-সুবান্দী নদীতে কচুরিপানা জনদুর্ভোগ

স্লুইসগেট অকার্যকর পানি প্রবাহ বন্ধ

| প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ ওয়াপদা ভেড়িবাঁধের ওপর নির্মিত দু’দিকের ২টি ¯øুইসগেট অকার্যকর হওয়ায় আমতলী থেকে সুবান্দী পর্যন্ত দীর্ঘনদী কয়েক যুগ ধরে কচুরিপানায় ভর্তি হয়ে আছে। পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ উঠেছে চরমে।
বরগুনার আমতলী উপজেলার আমতলী থেকে সুবান্দী পর্যন্ত দীর্ঘনদীর উভয় প্রান্তে ওয়াপদার ভেড়িবাঁধের ওপর নির্মিত ২টি ¯øুইসগেট অকার্যকর হওয়ায় কয়েক যুগ ধরে নদীটি কচুরিপানায় ভর্তি হয়ে আছে। এ নদীর শাখানদী আড়–য়া বৈরাগীর খাল, নাচনাপাড়া খাল, হলদিয়া-ঘুঘুমারী খাল, ল²ীর খাল, কালীগঞ্জ খালও কচুরিপানায় ভর্তি। এসব খালের উভয় তীরে আমতলী হাট, আড়–য়া বৈরাগীর হাট, নাচনাপাড়া হাট, মরিচবুনিয়া হাট, হলদিয়া হাট, রামজীর হাট, চন্দ্রা হাট, ল²ীর হাট, কালীগঞ্জ হাট, তালুকদারের হাট ও সুবান্দী হাটের মধ্যে আমতলী সদর ও তালুকদারের হাট ব্যতীত সব হাট বন্ধ হয়ে গেছে। নদীর উভয় তীরে আমতলী, নাচনাপাড়া, চাওড়া, চন্দ্রা, হলদিয়া, তক্তাবুনিয়া, দক্ষিণ রাওঘা, উত্তর রাওঘা, পাতাকাটা ও কৃষ্ণনগর-১০টি মৌজার ১৮০১৭ একর জমির মধ্যে বসতবাড়ি, পুকুর, বাগান, ভিটা, রাস্তা, নালা-খালা ইত্যাদি বাদে চাষাধীন প্রায় ৮০ ভাগ জমি পানি সরবরাহে অব্যবস্থায় কখনো জলাবদ্ধতা, কখনো বা পানির অভাবে ফসলহানি ঘটে। অপরদিকে কচুরিপানার কারণে উৎপাদিত ফসল পরিবহন সম্ভব হয় না। এছাড়া রয়েছে পানি ব্যবহারে সমস্যা। মশা ও সাপের উৎপাত। হাজার হাজার লোকের স্বাস্থ্য-ঝুঁকি।
১৯৬১ সালের পর ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ বুড়িশ^র নদী তীর ঘেঁষে ভেড়িবাঁধ নির্মাণ করে আমতলী ফেরিঘাট সংলগ্ন স্থানে ৪ ব্যাÐের একটি ¯øুইসগেট নির্মাণ করে পূর্বদিকে আমতলী নদীর সাথে ক্যানেল খুঁড়ে দেয়। কিন্তু ক্যানেলের ওপর দিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক নির্মিত হলে আমতলী নদীর পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে একই সময় ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ আমতলী নদীর অপর প্রান্তে সুবান্দি নামক স্থানে বাঁধ দিয়ে বাঁধের দক্ষিণ পাশে ১ ব্যাÐের একটি ¯øুইসগেট নির্মাণ করে দিলেও তা বিশাল এলাকার তুলনায় একেবারেই অপর্যাপ্ত। ফলে ৮০ দশক থেকেই আমতলী থেকে সুবান্দী পর্যন্ত দীর্ঘনদীতে কচুরিপানা বৃদ্ধি পেতে থাকে। জনসাধারণের দুর্ভোগ উপলব্ধি করে তৎকালীন হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সুবান্দি বাঁধ কেটে দেন। এতে করে জনসাধারণ উপকৃত হতে থাকেন। কিন্ত কয়েক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুবান্দি নদীতে পুনরায় বাঁধ দিয়ে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ২০১১ সালে সুবান্দিতে ২ ব্যাÐের একটি ¯øুইসগেট নির্মিত হলেও তা দিয়ে ২/৩টি মৌজার অধিক উপকৃত হচ্ছে না। অনেক দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে আমতলী প্রান্তে মহাসড়কের ওপর ইতিপূর্বে ৪ ফুট গভীর ও ৬ ফুট প্রস্থের একটি কালভার্ট নির্মিত হয়েছিল, যা খুলে দেয়া হয়নি। ২০১৫ সালে সেটি ভেঙ্গে ৬ ফুট গভীর ও ৬ ফুট প্রস্থের ২টি কালভার্ট পাশাপাশি সংযুক্ত করে নির্মিত হয়েছে, এখনো পর্যন্ত উদ্বোধন করা হয়নি। এটি উদ্বোধন করা হলেও তা পর্যাপ্ত হবে না বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ