Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যানজটে অচল দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল

| প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

* পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছে মাইলের পর মাইল
* ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা গচ্ছা যাচ্ছে
* ১৫ মের মধ্যে যানজট নিরসন হবে- জানালেন স্থানীয় এমপি নিজাম হাজারী
মোঃ আকতারুজ্জামান চৌদ্দগ্রাম ও আমিনুল হক মীরসরাই থেকে : ঘড়ির কাটা সকাল ৯টা। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছেছিল। মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী এলাকায় যানজটে আটকা পড়া চট্টগ্রাম মুখী কাভার্ডভ্যান চালক সিরাজের সাথে। তিনি বলেন, রাত ২টা যানযটে আটকা পড়ে আছি। গাড়ীতে চট্টগ্রাম বন্দরের সীপ ম্যানের গার্মেন্টপণ্য রয়েছে। আজ (গতকাল শুক্রবার) সকাল ১০টার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে থাকার কথা। একই ভাবে আটকে পড়া বিলাস বহুল পরিবহনের চালকের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসছি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। এখন সকাল ৯টার উপরে। যানজটের কারণে আটকা পড়ে আছি মহাসড়কের ফতেহপুর এসে। এভাবে অনেক চালকের সাথে কথা হয়। তারা জানালেন, গত ১ মে থেকে ঢাকা চট্টগ্রামের মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর রেল ক্রসিং নির্মাণের কারণে যানজট লেগেই আছে। এই যানজট কবে নিরসন হয় তার কোন সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করলেন চালক ও যাত্রীরা। কিন্তু আশার কথা শুনালেন স্থানীয় এমপি নিজাম হাজারী। তিনি গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় মুঠোফোনে সিঙ্গাপুরে অবস্থানকালে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আশা করছি ১৫মের মধ্যে যানজট নিরসন হবে। আমার সাথে রেলক্রসিং এর ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজে তদারককারী সেনাবাহিনীর মেজর মাসুদ আশ্বস্ত করলেন রমজানের আগেই অর্থাৎ ১৫মের মধ্যে রেলক্রসিং এর একাংশ খুলে দেওয়া হবে। এতে করে যানজট নিরসন হয়ে যাবে। এদিকে যানজট নিরসনের উদ্যোগ হিসাবে হাইওয়ে পুলিশ ফেনী ও চট্টগ্রাম মুখী যাত্রীবাহী বাস গুলোকে কুমিল্লা নোয়াখালী সড়ক দিয়ে পারপার করছে। কিন্তু কুমিল্লা নোয়াখালী সড়কটি সম্পূর্ণ খানা খন্দকে ভরা। একদিকে মহাসড়কটির ফোর লেনের কাজ চলছে অন্যদিকে অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে ঐ সড়কটিও যানজট এখন নিত্য দিনের সঙ্গী। বেলা সাড়ে ১১ টায় সরে জমিনে কথা হায় লাকসাম বাই পাসে সড়কে কথা হয় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লক্ষীপুর গামী ইকনো পরিবহনের চালক রফিকের সাথে। তিনি বলেন, ফেনী ফতেহপুরের কারণে এই সড়কটির উপরে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়া এখন এখানেও যানজট লেগেই আছে। ফলে অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে দেশের পূর্বাঞ্চল। গতকাল শুক্রবার মহাসড়কের ফেনী থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার ও ফেনী থেকে মিরসারই পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট লেগেই আছে। যানজটে আটকা পড়ে অনেক মহিলা ও শিশু পথিমধ্যে খাবার ও স্যানেটিশন সঙ্কটে অসুস্থ হয়ে গেছে। হাইওয়ে জোরালগঞ্জ পাড়ির ইনচার্জ সোহেল সরকার দৈনিক ইনকিলাবকে গতকাল সন্ধ্যায় জানান, যানজট নিরসনে পুলিশ ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে ভোক্তভোগীদের অভিযোগ ফেনী ফতেহপুর এলাকার রেলক্রসিং এর ওভারপাস নির্মাণ কাজের জন্য যানজট হচ্ছে। আবার কেউ কেউ দায়ী করছেন হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। পরিবহন চালকরা অভিযোগ করে নিয়ন্ত্রনের নামে পুলিশ নিরব চাঁদাবাজী করছেন। যতক্ষন পুলিশ সড়কে থাকেন ততক্ষন যানজট ও থাকে। সরে জমিনে দেখা গেছে মহাসড়কে প্রায় ৬০০ মিটার খানা খন্দকে ভরা। যান চলাচলের অনপযোগী। এই কারণেও যানজটের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলছে। অপরদিকে বিকল্প সড়ক হিসাবে ব্যবহার হওয়া ফেনীর পুরাতন সড়ক দেওয়ানগঞ্জ হয়ে ট্রাংক রোড দিকে সড়কটিরও নির্মাণ কাজ চলছে। দেওয়ানগঞ্জ, বিসিক সড়ক, শহিদ মেজর সালাউদ্দিন সড়কের ও বেহাল দশা। এ প্রসঙ্গে কথা হয় ফেনী ব্যবসায়ীক কমিটির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাজারীর সাথে তিনি বলেন, যানজটের কারণে ফেনী শহরে ব্যবসায়ী বা সাধারণ ক্রেতারা আসে না। ফলে আমরা দৈনিক বিপুল পরিমান অর্থনৈতিক লোকসান হচ্ছে। আশা করি সরকার এই যানজট রমজানের আগে নিরসনের উদ্যোগ নিবে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিংয়ে নির্মিত রেলওয়ে ওভারপাসের কারণে সৃষ্ট যানজটে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন মাইলের পর মাইল ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ে একদিকে যেমন যাত্রীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না মালবাহী গাড়িগুলো। দুরদুরান্তের গাড়িগুলো মহাসড়কের ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম নগরী ও বন্দরে পৌঁছাতে হয়। বন্দরের মালবাহী গাড়িগুলো ও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরে যাতায়াতের একমাত্র মিডেল পয়েন্ট হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর অংশ। এ বিশাল এলাকার মালবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ পড়ে মহাসড়কের উপর। যান চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ফেনী রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হলেও দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তা গলার কাঁটা হয়ে ঝুলে আছে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশে যানজটের কারণে বন্দরমুখী হাজার হাজার মালবাহী কাভার্ডভ্যান, লরি ও ট্রাক ঘন্টার পর ঘন্টা আটকা পড়ে আছে। নির্ধারিত সময়ে মালামাল বন্দরে না পৌঁছায় বিদেশে শিপমেন্ট দিতে পারছে না গার্মেন্টসহ বিভিন্ন রপ্তানিমুখী পণ্যের মালিকরা। এ যানজটের কারণে প্রতিদিন ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে। সরেজমিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস এলাকায় গিয়ে যানজটের নিত্যকার ভয়াবহ চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণে পূর্বের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যথাযথ বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেনি। বাইপাস সড়কসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি সম্পন্ন না করেই কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেড (পিবিএল)। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুরে ২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি কাজের অনুমতি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেড(পিবিএল)।
একসাথে কুমিল্লা,ফেনী ও ইলিয়টগঞ্জ ওভারপাস নির্মাণ কাজ শুরু করে তারা। ফেনীর মূল ওভারপাসের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৮৬.৭৯ মিটার। দু‘দিকের ঢালু অংশ মিলিয়ে মোট দৈর্ঘ্য ৭৫৫ মিটার। ঢাকার অংশের দৈর্ঘ্য ৩৪৭ মিটার আর চট্টগ্রাম অংশের দৈর্ঘ্য ৪০৮ মিটার। পিবিএল কাজ পাবার পর থেকে নান টালবাহানা শুরু করে। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে কাজ করার পর ফেনী রেলওয়ে ওভারপাসের অগ্রগতি মাত্র ৫০ ভাগ।
এদিকে জনদুর্ভোগ দেখে ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নতুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায় মেট্রো গ্রæপের প্রতিষ্ঠান আল আমিন কন্সট্রাকশন। অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে তারাও। এ প্রতিষ্ঠানকে ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ মাস সময় দিয়ে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। সময়সীমা পার হয়ে ২০১৮ সালের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও কাজের অগ্রগতি মাত্র ১০ ভাগ। এভাবে চলতে থাকলে এ বছরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কটিরও বেহাল দশা সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রীজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি বর্তমানে চলাচলের জন্য একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পুরো সড়কটিতে পিচ ঢালাই উঠে সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার বড় বড় গর্তের। আর ৭২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৯৫ শতাংশই এখন ভাঙা। পদুয়ার বাজার, লালমাই বাজার, লালমাই উপজেলার বাগমারা, হরিশ্চর, জয়নগর বাজার, লাকসাম জংশনের উত্তর দিকের অংশসহ বেশ কয়েটি স্থান একেবারেই ভয়ংকর। এসব স্থানে গর্তের গভীরতা বেশি হওয়ায় অনেক সময় গাড়ির চাকাও আটকে যায়। ভাঙার কারণে বাগমারা বাজার ও লাকসাম বাইপাসে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। এছাড়া লালমাই উপজেলার আলীশ্বর বাজার, লাকসাম জংশন, লাকসাম বাইপাস, মনোহরগঞ্জের খিলা বাজার, নাথেরপেটুয়া বাজার, বিপুলাসার বাজার, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, চৌমুহনী, বেগমগঞ্জ ও মাইজদীর বেশিরভাগ অংশেও প্রায় একই অবস্থা।
ফোরলেন চালু হবার পর বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট। ফেনীর ফতেপুর রেলগেইট থেকে সৃষ্ট যানজট মীরসরাই উপজেলা পেরিয়ে সীতাকুন্ড পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টানা দুইদিনের বেশি সময় যানজটে অচল ছিলো মহাসড়কের বিশাল এলাকা।
সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সৃষ্ট এই যানজট গতকাল প্রায় ১২০ কিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত হয়। এতে আটকা পড়ে হাজার হাজার যানবাহন। এতে সাধারণ যাত্রীদের অবর্ননীয় দূর্ভোগের আর সীমা নেই। অনেক মহিলা ও শিশু পথিমধ্যে খাবার ও স্যানিটেশান সংকটে অসুস্থ হয়ে যাবার খবর ও পাওয়া গেছে। পশুবহনকারীরা পশু নামিয়ে হেটে যাত্রা শুরু করেছেন। অনেকে বিকল্প উপায়ে ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন। কেউ কেউ উল্টো পথে কেউ কেউ হেঁটে গন্তব্যে পৌছার চেষ্টা করছেন।
একদল গরু নিয়ে মীরসরাই সদর এলাকা পার হচ্ছিলেন জনৈক এবাদুল হক ( ৪৮)। তিনি বলেন নোয়াখালী থেকে গরু নিয়ে দুইদিন আগে রওনা হয়ে অবশেষে সেই গরু ট্রাক থেকে নামিয়ে ফেনী থেকে হেঁটে ২০ ঘন্টা পর মীরসরাই পার হচ্ছেন। কখন চট্টগ্রাম পৌঁছাতে পারবেন তা তিনি নিজেও জানেন না। নিজে পথে চা নাস্তা খাচ্ছেন কখনো গরুগুলোকে ও রাস্তার পাশে খাওয়াচ্ছেন। কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হওয়া মীরসরাইয়ের সায়েফ উল্লাহ ১৫ মিনিটের পথ ৮ ঘন্টাও পার হতে না পেরে অবশেষে উল্টো পথে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন।
হাইওয়ে পুলিশের জোরারগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল সরকার জানান ফেনীর ফতেহপুর রেল ওভারপাস নির্মাণের স্থলে বিকল হয়ে যাওয়া ট্রাক অপসারণে বিলম্ব হওয়ায় এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। হাইওয়ে ও থানা পুলিশ সকলে আপ্রাণ চেষ্টা করে মহাসড়ক সচল রাখার চেষ্টা করছে।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক বাবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় নোয়াখালীর উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম থেকে বের হয়ে বড়দারোগারহাট আসলে রাত ১২টায় যানজটে আটকা পড়েন। শুক্রবার বিকেল নাগাদ বড়তাকিয়া এলাকায় পৌঁছেন। এ বিষয়ে মীরসরাই থানার ওসি সাইরুল হক বলেন অপ্রত্যাশিত এই যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের সাথে জোরারগঞ্জ ও মীরসরাই থানার সকল পুলিশ সদস্য দিনভর প্রতিটি ইউটার্ণে অবস্থান নিয়ে যানজট নিরসনে কাজ করছে।
এদিকে সৃষ্ট এই যানজটে ঢাকামুখি দুর পাল্লার অনেক বাসই দিনের বেলা যাত্রা বাতিল করায় অধিকাংশ মানুষ রেলে ঢাকা যাত্রা করেছে। এই বিষয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোরলেনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং সওজ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, আমি খোঁজ নিয়েছি কয়েকটি ট্রাক বিকল হওয়ায় এবং বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে অতিরিক্ত ট্রাক ঢাকামুখী থাকায় এমন যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে শীঘ্রই তা সচল হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এই বিষয়ে ফেনী ফতেপুর রেল ক্রসিংয়ে নির্মানাধিন ফ্লাইওভারের দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রেজাউল মজিদ বলেন, ফ্লাইওভারটির কাজ দ্রæত চলছে। বিকল্প সড়কটি দুই লেইন হওয়ায় অনেক গাড়ি ইতিমধ্যে ফেনী শহরের বিকল্প সড়ক হয়ে পারাপার হতো। কিন্তু সেখানেও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দূর্বল হওয়ায় যানজট হচ্ছে। মহাসড়কের ভারী যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজট বেড়েছে বলেও জানান তিনি। শিগগির সংকট কেটে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন ফ্লাইওভারের কাজ দ্রæত গতিতে চলছে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।



 

Show all comments
  • Parvez Islam ১২ মে, ২০১৮, ২:৪৯ এএম says : 0
    er somadhan kora khub joruri
    Total Reply(0) Reply
  • কাওসার আহমেদ ১২ মে, ২০১৮, ২:৫০ এএম says : 0
    এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Osman Hossain ১২ মে, ২০১৮, ১১:২২ এএম says : 0
    এটা আর নতুন কি ১০-১৫ বছর থেকে এরকম হয়ে আসছে. দেশে ডিজিটাল উন্নয়নের কাজের জন্য এরকম অবস্থা.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nurul Islam ১২ মে, ২০১৮, ১১:২৩ এএম says : 0
    এটা দ্রুত সমাধান কর‌ছে না কে‌নো ।‌বিকল্প রাস্তা ব্যবস্তা না ক‌রে ফ্রাইওভার নির্মান হ‌চ্ছে । জনগ‌নের ভোগা‌ন্তি দুর করুন ।
    Total Reply(0) Reply
  • Jashim Uddin ১২ মে, ২০১৮, ১১:২৪ এএম says : 0
    সড়ক মন্ত্রী কোথায় গেলেন??
    Total Reply(0) Reply
  • পারভেজ ১২ মে, ২০১৮, ১১:২৫ এএম says : 0
    আমাদের দৈনিক বিপুল পরিমান অর্থনৈতিক লোকসান হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যানজট

১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
৯ জানুয়ারি, ২০২৩
১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
২৭ নভেম্বর, ২০২২
২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ