Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভোলায় কিস্তির টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এনজিওকর্মীকে হত্যা

| প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ভোলা জেলা সংবাদদাতা : ভোলায় ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির টাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিল্লাল হোসেন (৩০) নামের হীড বাংলাদেশের এক মাঠকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের হাজীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিল্লাল সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টবগী স্কুল এলাকার মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুলু আরা বেগমকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে হীড বাংলাদেশ ভোলা সদর উপজেলা শাখার মাঠকর্মী মোঃ বিল্লাল হোসেন কিস্তির টাকা আদায় করতে আলীনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৃত মোঃ অজিউল্লাহ মুন্সীর স্ত্রী গ্রাহক দুলু বেগমের বাসায় যায়। এসময় দুলু বেগম ও তার ছেলে মোঃ বিল্লালের সাথে এনজিও কর্মী বিল্লালের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গ্রাহক এনজিওকর্মী বিল্লালকে ধারালো ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। বিল্লাল জীবন বাঁচাতে পাশের বাড়ির উঠানে এসে মাটিতে লুটিয়ে পরে মারা যায়। বিল্লালের এ অবস্থা দেখে ওই বাড়ীর হামিমা বেগম আত্মচিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে জড়ো হয়। পরে পুলিশে খবর দিলে ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগির আহমেদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হীড বাংলাদেশ ভোলা শাখার ম্যানেজার যগদীশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষিদের বিচার দাবি করছি। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগির আহমেদ জানান, আমরা ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িত দুলু বেগমকে আটক করা হয়েছে। দুলু বেগমের ছেলে রাজমিস্ত্রী বিল্লাল পলাতক রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদÐ
রাজশাহী ব্যুরো : ২০১৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ফাঁস করা প্রশ্নপত্রসহ গ্রেফতার হওয়া আলমাস উদ্দিন নামে এক যুবককে গতকাল পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদÐাদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক সাইফুল ইসলাম। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদÐ দেওয়া হয়েছে তাকে। তার বাড়ি জেলার চারঘাট উপজেলার মিলিক গওড়া গ্রামে, বাবার নাম আলম উদ্দিন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ মে চারঘাট সদরে এইচএসসি পরীক্ষার বাণিজ্য বিভাগের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্ন ফটোকপি করে বিক্রি করছিল আলমাস। চারঘাট থানা পুলিশ তার কাছ থেকে সেদিন কাগজের ওপর হাতে লেখা চার পাতা প্রশ্নপত্র জব্দ করা করেছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা করেন চারঘাট থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিন। এরপর আদালতে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। চার বছর পর আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ