Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র টিটু’র বিরুদ্ধে মামলা

| প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নেপথ্য রহস্য ফাঁস, কুশীলবদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
মো: শামসুল আলম খান : ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি হস্তান্তর করের টাকা পৌরসভার ব্যাংক হিসাবে কেটে নেয়ার মামলায় টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৪ হাজার ৫৮৩। কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশ পাওয়ার পর পরই পৌরসভা পরিশোধ করেছে ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু টাকার অঙ্ক না কমিয়ে ‘ভুল’ তথ্য দিয়েই আদালতে দায়ের করা হয়েছে মামলা। চার দিন আগে দায়ের করা এ মামলার বাদী আবার পৌরসভার গাড়ি ভাংচুর মামলার আসামি মোর্শেদুল আলম জাহাঙ্গীর। এ ইউপি চেয়ারম্যানের মামলার আড়ালের নেপথ্য কুশীলবরা পৌরসভার প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৬০ শতাংশ জমি ইতোপূর্বেই জোরপূর্বক দখল করে প্রভাবশালী এক রাজনীতিকের সন্তানের নামে স্কুল করেছে। দখলবাজির এ ঘটনায় পৌর কর্তৃপক্ষ মামলাও করেছে। এসব ঘটনার জেরেই হঠাৎ করেই ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল আলম ও সাবেক সাব রেজিষ্ট্রার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ক’দিন যাবত জেলার রাজনৈতিক অঙ্গণে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ মামলার নেপথ্য কারণ সম্পর্কে এভাবেই বলছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম। গত বুধবার সকালে ইনকিলাবের কাছে উল্টো এসব অভিযোগ করেন তিনি। ময়মনসিংহ পৌরসভার প্রশাসনিক শাখার একটি সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরের গেজেট অনুযায়ী পৌরসভার সীমানা বর্ধিত হওয়ায় সদরের বেশ ক’টি ইউনিয়নের ভূমি হস্তান্তর করের শতকরা এক ভাগ টাকা পৌরসভার হিসাবে ১ কোটি ৮২ লাখ ৪ হাজার ৫৪৩ টাকা ৯৬ পয়সা জমা দেয় সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস। ২০১৭ সালের ১২ জুন পর্যন্ত ২৭০ দিনে পৌরসভার হিসাবে এ টাকা জমা প্রদান করা হয়। এ টাকাকে রাজস্ব আয় ধরে সরকারি বিধি মোতাবেক পৌরসভা নাগরিক সেবা নিশ্চিতসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যয় করে। কিন্তু এ টাকা ইউনিয়ন পরিষদ না পৌরসভা পাবে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট করতে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিটি করপোরেশনের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের আগে ওই টাকা উপজেলা পরিষদের তহবিলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ দুই ধাপে ইতোমধ্যেই ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে। বাদ বাকী টাকাও পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। কিন্ত তা সত্তে¡ও গত রোববার (০৬ মে) ১ নং আমলী আদালতে দায়ের করা এ মামলায় এসব তথ্য গোপন করা হয়েছে এবং পরিশোধকৃত টাকা পাওনার অঙ্ক থেকে বিয়োগও করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলর। এদিকে মেয়র টিটুর সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আতœসাতের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত অর্থ পৌরসভার বাজেটভুক্ত করে বিধি সম্মতভাবে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা, শ্রমিকের মজুরিসহ দৈনন্দিন ব্যয় ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যয় যৌথ স্বাক্ষরে চেকের মাধ্যমে ব্যয় হয়েছে। এটি নিরীক্ষা কার্যালয় দ্বারা নিরীক্ষিত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ