Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আনোয়ারায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে গ্রাহক হয়রানি

| প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে জাহেদুল হক : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাধারণ গ্রাহকরা। পূর্বের পরিশোধ হওয়া বিদ্যুৎ বিলও নতুন মাসের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে যোগ করে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ সমস্যা সমাধান করতে আসা গ্রাহকদের নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েও হয়রানি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিল নিয়ে আনোয়ারা উপজেলার গ্রাহকদের অভিযোগ প্রথম নয়। প্রায়ই বিদ্যুৎ বিল দেখে অনেক গ্রাহকের চোখ কপালে উঠে যায়। সবমিলিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এখন পরিণত হয়েছে পল্লী বিপদ সমিতিতে। এমনই অভিযোগ করেছেন হয়রানির শিকার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি আনোয়ারা জোনের অধিকাংশ গ্রাহক। এ নিয়ে গতকাল গ্রাহকরা পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসে ভিড় করলে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে আনোয়ারা জোনাল অফিসের এজিএম (কম) মফিজুল ইসলামের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের কারণে হয়রানির শিকার গ্রাহকরা জানান, নিয়মানুযায়ী এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা গত মার্চ মাসের বিল পরিশোধ করার পরও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে ওই মাসের বিদ্যুৎ বিল যোগ করে গ্রাহকদের হাতে বিলের কাগজ ধরিয়ে দেয়া হয়। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। তারা আরও জানান, অদ্যাবধি পর্যন্ত বিড়ম্বনার শিকার এসব গ্রাহকদের কোনো সুস্পষ্ট সমাধান দিতে পারেননি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উপজেলার রূদুরা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ নবী বলেন, মার্চ মাসে ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় তার বিদ্যুৎ বিল আসে টাকা, যা তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করেন। এরপর এপ্রিল মাসের বিলে তিনি দেখন পরিশোধিত ওই মাসের বিল যোগ করে দেয়া হয়েছে। একই অভিযোগ করেন জুঁইদন্ডী গ্রামের লোকমান হাকিম, চুন্নাপাড়া গ্রামের হাবিব মুনিরী, চাতরী গ্রামের নজরুল ইসলাম, বটতলী গ্রামের কামাল উদ্দিনসহ আরো অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু অভিযোগকারীরাই নয়, আনোয়ারা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৭২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে এই ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বিড়ম্বনার শিকার কয়েক হাজার গ্রাহক। একদিকে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল অপরদিকে এ বিল সংশোধন করাতে এসে নানা বিড়ম্বনা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ আনোয়ারা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো.আকতার হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, যেসব গ্রাহক ব্যাংকে বিল পরিশোধ করে থাকে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এসব বিলের প্রতিবেদন যথাসময়ে অফিসে আসে না। এ কারণে অনিচ্ছাকৃত এই ভুলটি হচ্ছে। তবে যেসব গ্রাহক এ অভিযোগ নিয়ে আসছেন তাদের সমস্যা সমাধান করে দিচ্ছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ