বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামী পক্ষের সন্ত্রাসীরা হ্যান্ডকাপসহ নাছির মিয়া (৩০) নামে এক নারী নির্যাতন মামলার আসামীকে ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় পুলিশের এসআইসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ভোর রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। আটকরা হলো, বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান, আবু বক্করের ছেলে আবু তাহের ওরফে লিকু ও আব্দুর আরিফের স্ত্রী সামসুন্নাহার বেগম।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এক এক সপ্তাহ আগে বড়ালু এলাকার এক মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ওই এলাকার আব্দুর আরিফের ছেলে নাছির মিয়াসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা গত মঙ্গলবার বিকেলে নাছির মিয়াসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ভোর রাতে ওই মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদশা আলামসহ ছয় পুলিশ সদস্য বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মামলার প্রধান আসামী নাছির মিয়াকে গ্রেফতার করে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে ফেলে সিএনজিতে উঠিয়ে নেয় পুলিশ। এসময় ওই মামলার অপর আসামী আবু তালেক ,ইয়াকুব, সাদ্দাম হোসেন, রাব্বিসহ আসামী পক্ষের সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশকে পিটিয়ে আহত করে হ্যান্ডকাপসহ আসামী নাছির মিয়াকে ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজিটি ভাংচুর করে। পুলিশের চাপের মুখে আসামী পক্ষের লোকজন হ্যান্ডকাপটি ফেরত দিয়ে দেয়। এদিকে, পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামী ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর পুলিশের একাধিক দল বড়ালু এলাকায় ফের অভিযান পরিচালনা করেন । এসময় ওই তিন জনকে আটক করা হয়। নাছিরসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একাধীক মামলা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদশাহ আলম বলেন, আসামীসহ আসামী পক্ষের লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এবিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।