বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশে খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে ভেজালের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ভেজাল ও মানহীন পণ্য ব্যবহার করে মানুষ ক্যান্সার, কিডনি, লিভারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ভেজাল প্রতিরোধ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-১২ অর্জন ও ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় নয়টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনের পর দ্রæত এর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে ভেজাল শনাক্তে ফিজিক্যাল, বায়োলজিক্যাল, নিউট্রেশনাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি। এ কারণে পণ্যে ভেজাল প্রতিরোধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়সহ বিভাগীয় শহরে নয়টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নকল ও ভেজাল পণ্য প্রতিরোধ, জাতীয় পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা নিশ্চিতকরণ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি-১২ অর্জনে গবেষণাগার ও ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ৩০ জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অনুদানে বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় নয়টি ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য প্রধান কার্যালয়সহ বিভাগীয় শহরে আলাদা ফ্ল্যাট ক্রয় করা হবে। এছাড়া ল্যাবরেটরি ও ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনায় জনবল নিয়োগসহ গাড়ি কেনা হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদের দক্ষ ব্যবহার, এ সময়ের মধ্যে খুচরা ও ভোক্তা পর্যায়ে মাথাপিছু বিশ্বব্যাপী খাদ্য অপচয় হ্রাস, উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ-পরবর্তী অপচয়সহ শস্যের যাবতীয় ক্ষতি কমিয়ে আনা, ২০২০ সালের মধ্যে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে মানসম্মত রাসায়নিক ও পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার দক্ষতা অর্জন, মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর প্রতিকূল প্রভাব কমানোর জন্য বায়ু, পানি ও মাটি দূষণকারী রাসায়নিক উপাদানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা, ভিশন ২০৪১-এ বর্ণিত উন্নত আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া, জীবনযাত্রার মানের সূচক উন্নীত করা, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ খাদ্যপণ্যে ভেজাল ও নকল প্রতিরোধে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬৪টি জেলাকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা অফিসের জন্য নিজস্ব কোনো স্থায়ী ভবন নেই। ভাড়া করা ভবনের ওপর নির্ভর করেই সারা দেশে এ সংস্থার কার্যক্রম চলে। ফলে ভাড়া করা ভবনে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া ভেজালবিরোধী অভিযান ও ল্যাবরেটরি পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবলও নেই। তবে এ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প পরিচালকসহ জনবল নিয়োগ, ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য আটটি বিশেষায়িত বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় ল্যাবের জন্য ফ্ল্যাট, ইকুইপমেন্ট, সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র, ফ্রোজেন কাভার্ড ভ্যান ক্রয় করা হবে। এছাড়া ল্যাব পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর জানায়, জাতিসংঘের ভোক্তা সুরক্ষা গাইডলাইন ১৯৮৫-এর অনুসরণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। পরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে এ অধিদপ্তরে পণ্যের মান যাচাইয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।