বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা: ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দা উপজেলায় সাংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে নিয়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রæপের গ্রæপিং অব্যহত। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীরর নির্বাচনী এলাকা হচ্ছে ফরিদপুর নির্বাচনী আসন-২ (সালথা-নগরকান্দা)। প্রথমে তার একান্ত সচিব ছিলেন জামাল হোসেন মিয়া, দ্বিতীয় দফায় একান্ত সচিব ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বড় ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু, সাম্প্রতিক আয়মন আকবর চৌধুরীকে একান্ত সচিব থেকে অব্যহতি দিয়ে তার এক আত্মীয়কে একান্ত সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার পর থেকেই সালথা-নগরকান্দায় শুরু হয়েছে লবিং-গ্রæপিং। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা নিজ ফায়দা লোটার জন্য দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে সৈয়দা চৌধুরীকে দেখতে যান এলাকার আওয়ামীলীগের দুই নেতা আলমগীর ফকির ও শের আলী খাঁ। হাসপাতালে পৌছানো মাত্রই তার বর্তমান একান্ত সচিব সফিউদ্দিনের নেতৃত্বে আলমগীর ফকির ও শের আলী খাঁকে গণ ধোলাই দেওয়া হয়। এই গণ ধোলাইয়ের কর্মকান্ড মেনে নেয়নি সালথা-নগরকান্দাবাসী। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসুস্থতার খবর পেয়ে নগরকান্দা-সালথার অসংখ্য নেতা কর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং দুই হাত ধরে দোয়া চেয়ে আশু রোগমুক্তি কামনা করেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সুস্থ্য না হতেই তার একান্ত সচিব সফিউদ্দিনের গ্রæপ মঙ্গলবার সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ৮০ তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করার জন্য নগরকান্দার সালথা থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ঢাকায় এনে ভুরি ভোজের আয়োজন করেছেন। এ নিয়ে সালথা-নগরকান্দাবাসী চরম ভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা বলেন, অসুস্থ্য সাজেদা চৌধুরীর জন্য দোয়া না চেয়ে সফিউদ্দিনের নেতৃত্বে আমোদ ফূর্তি করছে। বিষয়টি খুবই দু:খজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।