পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কয়েক দফা পেছানোর পর দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১০ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইতোমধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সেখানে সব ঠিকঠাকই আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং কোনো কারিগরি জটিলতা না ঘটলে আগামী ১০ মে যুক্তরাষ্ট্র সময় বিকাল ৪টায় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ হবে বলে স্পেসএক্স আমাদের জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণে ব্যবহার করবে একটি ফ্যালকন-৯ বøক ফাইভ রকেট। গত ৪ মে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে নতুন এই রকেটের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ১০ মে ধরে সব প্রস্তুতি নেওয়া হলেও এসব ক্ষেত্রে আবহাওয়া এবং কারিগরি বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহু ঘটনা আছে, যেখানে কাউন্ট ডাউনের একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়েও উৎক্ষেপণ স্থগিত করতে হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও হারিকেন আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় কেইপ কেনাভেরাল থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে পিছিয়ে যায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তারিখ। এরপর গত ৪ মে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে ২৫ এপ্রিল টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএবি) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সেই তারিখও পরিবর্তনের কথা জানান। তিনি জানান ৭ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে সেটি পরিবর্তন করে ১০ মে চুড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়।
এপ্রিলে প্রকল্প পরিচালক মো. মেজবাহুজ্জামান জানিয়েছিলেন, ফ্যালকন-৯ রকেটে চারটি অংশ রয়েছে। ওপরের অংশে থাকবে স্যাটেলাইট, তারপর অ্যাডাপটর। এরপর স্টেজ-২ এবং সবচেয়ে নিচে থাকে স্টেজ-১। নির্ধারিত সময়ে রকেটটি সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের পরপরই স্টেজ ওয়ান চালু হয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করবে রকেট; প্রচÐ শক্তিতে ধাবিত হবে মহাকাশের দিকে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর রকেটের স্টেজ-১ খুলে নিচের দিকে নামতে থাকে, এরপর চালু হয় স্টেজ-২। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্টেজ-১ পৃথিবীতে এলেও স্টেজ-২ একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত স্যাটেলাইটকে নিয়ে গিয়ে মহাকাশেই থেকে যায়।
এটির কক্ষপথ হবে মহাকাশের ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায়। স্যাটেলাইটটির নির্ধারিত ¯øটে পৌঁছাতে আট দিন সময় লাগবে। স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার উপপ্রহ কোম্পানি ইন্টার স্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল ¯øট) কেনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে। স্যাটেলাইটটি ১৫ বছর মেয়াদের মিশনে পাঠানো হচ্ছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহটি টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরনের সেবা দেবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ট্যারিস্টরিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে সারাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল থাকা, পরিবেশ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ই-সেবা নিশ্চিত করবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় নির্মিত হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।