Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মনোহরদীতে এসআই-এর হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

| প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : নরসিংদীর মনোহরদীর রামপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিমল চন্দ্র দাস এর উপর হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামপুর মন্দিরের পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একই এলাকার মৃত: যোগেশ চন্দ্র দাসের ছেলে পুলিশের এসআই হরিদাস ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য উত্তম দাস ওরফে নেহারু এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে রামপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিমল চন্দ্র দাসকে কিল, ঘুষি মারতে থাকে। কিল ঘুষির এক পর্যায়ে হরিদাস স্কুল শিক্ষককে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসী হামলাকারী ও সামাজিক অপরাধীদের বাঁধা প্রদান করলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, পুলিশের এসআই হরিদাস ও তারই সহোদর পুলিশের কনস্টেবল পিন্টু দাস খিদিরপুর ভূমি অফিসের সামনে সরকারি জমি জবর দখল করে রেখেছে। নেহারু চক্রটি এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রায়শই বিভিন্ন ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। পিন্টু দাস ও এসআই হরিদাস কয়েক বছরের ব্যবধানে কোটি-কোটি টাকার অবৈধ পাহাড় গড়েছে। পাশাপাশি হরিদাস হবিগঞ্জ, নরসিংদী সদর ও রামপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয় করেছে।
এ ব্যাপারে রামপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিমল চন্দ্র দাস জানান, সামাজিক অপরাধীচক্রের অপরাধকে সমর্থন না করে আমি বিগত সময়ে প্রতিবাদ করেছি। এ জন্যেই আমার উপর এ হামলা চালিয়েছে। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান জামিল জানান, হামলাকারীরা দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের উপর আমাদের নজর রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিমল চন্দ্র দাসের উপর যে হামলা চালিয়েছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। জেলা শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদ দুঃখ প্রকাশ করে জানান, ঘটনার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আমি কথা বলছি। হামলাকারীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ