Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পটুয়াখালীতে শতকোটি টাকার তরমুজ উৎপাদন

| প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


পটুয়াখালী থেকে মো: জাকির হোসেন : প্রচন্ড গরমের খরতাপে প্রান জুড়াচ্ছে একটুকরা তরমুজের মিষ্টি রসালো রস। বয়স্ক থেকে শিশু সবাই প্রচন্ড গরমের ক্লান্তি দূর করতে প্রান ভরে পানির দামে খাচ্ছে তরমুজ। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে পানি ও লবন শূন্যতা পূরনে এ জাদুকরি ফলের তুলনা নেই।
পটুয়াখালীসহ দক্ষিনাঞ্চলের হাট বাজারে এখন তরমুজের ব্যাপক সমারোহ। নি¤œ আয় থেকে সব ধরনের আয়ের মানুষ ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বিক্রী হচ্ছে তরমুজ। খুচরা বাজারে ছোট ও মাঝারি সাইজের তরমুজ বিক্রী হচ্ছে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০-৭০ টাকার মধ্যে, ১০ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রী হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। ১৫ থেকে ২০ কেজি বড় সাইজের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকার মধ্যে।
চলতি বছরে পটুয়াখালী জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে শুধূ মাত্র দুমকি উপজেলা ব্যাতীত বকি ৭টি উপজেলায় ১৩ হাজার ৭শ ১৮ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী তরমুজ আবাদ করা হয়েছে জেলার সর্বদক্ষিনে রাঙ্গাবালী উপজেলায়। এ উপজেলায় ৮হাজার ৫ শ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়। এ ছাড়াও জেলার গলাচিপা উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর, কলাপাড়ায় ৫শ ১৫ হেক্টর, দশমিনায় ৪শ হেক্টর, বাউফলে ২শ ৭৫ হেক্টর, পটুয়াখালী সদরে ১৮ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জে ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করা হয়। আবহাওয়া অণুকূলে থাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে এবার পটুয়াখালীর সর্বত্র যার ফলে তরমুজের ব্যাপক সমারোহ পটুয়াখালীর সর্বত্র। মানুষজন প্রচন্ড গরমের সস্তায় তরমুজ কিনতে পেরে আনন্দিত।
পটুয়াখালী জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) আব্দুল ওদুদ খান জানান, এবারে পটুয়াখালী জেলায় এ ১৩ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়, এ থেকে প্রায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিকটন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে এ থেকে প্রায় ১০২ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়ার কুয়াকাটার তরমুজের সুনাম রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে রয়েছে,চৈত্রের শুরু থেকে অদ্যাবধী প্রতিদিন হাজার হাজার তরমুজ লঞ্চ, ট্রাক,কার্গো ট্রলার করে রাজধানী সহদেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে।
পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত রাঙ্গাবালী উপজেলার সেনের হাওলা গ্রামের ওহিদুল ইসলাম একজন তরমুজ চাষি, তার সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয় ঢাকাগামী লঞ্চ সুন্দরবন-৭ তিনি জানান,তার ৯বিঘা জমিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৪৫০০শ’তরমুজ উৎপাদন করেন,প্রতিটি তরমুজ ঢাকার মোকাম পর্যন্ত পৌছাতে যাতায়াত খরচ সহ যাবতীয় খরচ হয় মোট ২৬ টাকা। চৈত্র মাসের ২৬ তারিখ তিনি ৩০০শ’ তরমুজ ঢাকার মোকামে বিক্রি করে পান ১০ হাজার টাকা,পরবর্তিতে ২৬ চৈত্র তিনি ১১০০শ’তরমুজ বিক্রি করে পান ঢাকার মোকামে ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা,বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে ১৪০০শ’ তরমুজ ঢাকার মোকামে বিক্রি করে পান ১ লাখ টাকা,গতসপ্তাহে ঢাকার মোকামে ১৫০০ শ’তরমুজ বিক্রি করে পান ৯০ হাজার টাকা। একই অবস্থা পটুয়াখালীর অধিকাংশ তরমুজ চাষীর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ