বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মো: শামসুল আলম খান : রোদ ঝলমলে এক দুপুর। শিক্ষা নগরী ময়মনসিংহের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। কিন্তু এ স্কুলের আঙিনায় ভিড় নেই মেধাবী কন্যাদের। হাতেগোনা মাত্র ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী এসেছেন পরীক্ষার ফলাফল জানতে। শতকরা ৯৫ ভাগ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ফলাফল জেনে যাওয়ায় স্কুলমুখী হননি।
একই অবস্থা ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুল, ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজসহ বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই। প্রত্যাশামাফিক ফলাফল অর্জন করলেও এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসেনি উচ্ছ¡াস, আনন্দ-উল্লাসের হাট। হাসি-গানে মুখর স্কুল আঙিনার পরিবর্তনে কেমন জানি এক নীরবতা!
তবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ক’জন শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকরা এসেছেন তাদের মাঝে আবার আহা কী আনন্দ আকাশে-বাতাসে। প্রত্যাশিত ও কাঙ্খিত ফলাফলের পরেও গলা জড়িয়ে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন মায়াভরা মুখের মেধাবীদের দল।
তারাই যেন নীরব আঙিনায় প্রাণ ফিরিয়ে আনতে চাইছেন। ঘটা করে সাফল্যের মিষ্টি মুখের পর্ব সেরে দোয়া নিয়ে সামনের রুদ্রকরোজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিদায় জানালেন নিজেদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে।
এসব দৃশ্যপ্রবাহ গতকাল রোববার দুপুরের ময়মনসিংহের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবার পর এসব খন্ড খন্ড দৃশ্যই দেখা গেলো। তবে কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-অভিভাবকদের বয়স ভুলে আনন্দ ভাগাভাগি করার দৃশ্য অবশ্য চোখে পড়েছে।
আর এক্ষেত্রে হয়তো দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। এ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বরাবরের মতো এবারো শতভাগ পাশ করেছে। ১৫৭ জন পরীক্ষার্থীর ১৪৭ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ফলাফল প্রকাশের পর পরই এ স্কুলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আনন্দ চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয়েছে মাঠের এক পাশ থেকে আরেক পাশে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন কলেজটির প্রিন্সিপাল লে. কর্ণেল তাজুল ইসলামও। তিনি বলেন, ইন্টারনেটের জামানায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ফলাফলের দিন মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভিড় থাকে না। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আমাদের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ফলাফল জানতে স্কুলেই এসেছিল। সবাই মিলে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেছিল।
শিক্ষা নগরী বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফলাফলের দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার অনেক কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন, এখন সবার হাতে হাতে স্মার্ট ফোন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।