পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, যাঁরা ইসলামের খেদমতে নিবেদিতপ্রাণ, তাদেরকে চাইলেও ভুলে যাওয়া যায় না। পলাশীর পরাজয়ের পর ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলাম ও মুসলমানের চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস, তাহযীব-তামাদ্দুন তখন ভুলুণ্ঠিত হয়েছিল। অন্ধকারাচ্ছান্ন এবং শিরক-বিদআত ও কুসংস্কারের নিগড়ে আবদ্ধ সে মুসলিম সমাজে তখন ইসলামের প্রকৃত আদর্শ পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন যিনি দেখেছিলেন, তিনি হলেন হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)। তাঁর শাহাদাতের দুশো বছর পর আবার আমাদের এ সমাজ জাহিলিয়্যাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) এর অনুসারীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দুয়ারে দুয়ারে মানবতার বাণী পৌঁছাতে হবে, ইসলামের প্রকৃত আকীদা-আদর্শে মানুষদের উজ্জীবীত করতে হবে।
তিনি গতকাল শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে শহীদে বালাকোট হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মরণে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের উদ্যোগে পরিষদের যুগ্ম-আহŸায়ক, বিশিষ্ট আলিমে দ্বীন মাওলানা আবু নছর জিহাদীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সদস্য সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী।
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজমূল হুদা খান এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদ মাওলানা আজির উদ্দীন পাশার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ড. এম. শমসের আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ.আর.এম. আলী হায়দার মুর্শিদী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব আলহাজ্জ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, শামসেবাদ দরবারের পীর ছাহের মাওলানা শামসুল হক, যশোর দারিয়াপুরের পীর ছাহেব অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ুম, নেছারাবাদের পীর ছাহেব হযরত মাওলানা খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ মহাসচিব মাওলানা এ কে এম মনোওর আলী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ম-মহাসচিব ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান, দারুন নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ খ ম আবু বকর সিদ্দিক, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, কুমিল্লা বার্ড’র যুগ্ম-পরিচালক আলহাজ¦ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল কাদের, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা হাসান মাহমুদ।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, নয়াটুলা কামিল মাদরাসা ঢাকা’র অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করীম, ফেনী ছাগলনাইয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদ ভূঁইয়া, চাঁদপুর ফকিরবাজার ইসলামিয়া ছুন্নিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান সরকার, মোহাম্মদপুর গাউছিয়া ফাজিল মাদরাসা ঢাকা’র অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইজহারুল হক, চট্টগ্রাম সুফিয়া নুরিয়া ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হক, কুমিল্লা আহমদিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম মীরেরসরাই লতিফিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একরামুল হক, মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, জুরানপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান প্রফেসর আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন জাহেদ।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিতত্ব করেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান। শেষে মুনাজাত করেন শামসেবাদ দরবারের পীর ছাহেব হযরত মাওলানা শামসুল হক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী বলেন, সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)’র মাধ্যমে এ আন্দোলন আরো শক্তিশালী হয়েছে। তাঁর রূহানী চেতনায় বলীয়ান হয়ে আযাদী এসেছে, ইসলামের প্রকৃত আকীদা-বিশ্বাস এ উপমহাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজি বলেন, আউলিয়ায়ে কিরামের উত্তরসূরী সকলকে সব মতপার্থক্য পেছনে ফেলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, কেননা আউলিয়ায়ে কিরামবিরোধীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকারে থেকে যাবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে পরিষদের সদস্য সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী বলেন, তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে নির্যাতিত-নিপীড়িত মুসলমানদের রক্ষায় ও সত্য ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।